বাঁচা-মরার ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াল জিম্বাবুয়ে। ৬ষ্ঠ উইকেটে ৭৮ বলে ১০০ রানের জুটি গড়লেন সিকান্দার রাজা ও রায়ান বার্ল।

এর আগে ৯১ বলে ৮৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছেন ওপেনার রেগিস চাকাভা।

সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে এ তিন ব্যাটসম্যানের নৈপুণ্যে ২৯৮ রানের বড় সংগ্রহ গড়ল স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে।

শেষদিকে দ্রুত ৩ উইকেট নিলে তিন বল বাকি থাকতে অলরাউট হয়ে গেছে জিম্বাবুয়ে।

আজ বল হাতে জিম্বাবুয়ের ব্যাটম্যানদের বেদম পিটুনি খেয়েছেন পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ৩টি উইকেট নিলেও ৮ ওভারে ৮৭ রান দিয়েছেন তিনি।

শেষদিকে মারমুখি হয়ে খেলেছেন সিকান্দার রাজা ও রায়ান বার্ল।

তাদের জুটিতে ভর করেই ৩০০ ছাড়িয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। ৪৮তম ওভারে রাজাকে থামন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান।

মুস্তাফিজের অফ স্টাম্পের বাইরের স্লোয়ার বল উড়িয়ে মারার চেষ্টায় টাইমিং করতে পারেননি রাজা। বল উঠে যায় কেবল ওপরে। বৃত্তের ভেতরই পয়েন্ট থেকে ছুটে ক্যাচ নেন মোসাদ্দেক।

৫৪ বলে ৫৭ রানের দারুণ ইনিংস খেলে আউট হন রাজা।

এর আগে সাইফ উদ্দিনের এক ওভারে দুটি ছক্কা মারেন বার্ল। এরপর আরেকবার উড়িয়ে মারেন। ক্যাচটি নিতে পারতেন সাকিব। বরং তা বাউন্ডারি হয়ে গেলে আউটের বদলে ফিফটি স্পর্শ করেন বার্ল।

রাজা-বার্ল জুটি যতক্ষণ মাঠে ছিলেন, জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ তরতর করে উপরে উঠেছে।

৩৯.৫ ওভারেই দলীয় সংগ্রহ দুইশ ছাড়ায় স্বাগতিকদের।

আজ একজন বোলার ঘাটতি থাকায় পূর্ণ ১০ ওভার বোলিং করেলেন পার্টটাইম বোলার মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু সবচেয়ে বেশি সফল তিনিই। ক্যারিয়ারের ২০০তম ম্যাটে ২ উইকেট নিয়েছেন। ১০ ওভারে ৪৫ রানের খরচায় ২ উইকেট নিয়েছেন রিয়াদ।

শুরুতে পেসাররা উইকেট নিতে ব্যর্থ হলে স্পিন আক্রমণে মাহমুদউল্লাহর হাতে বল তুলে দেন তামিম।

প্রথম ওভারে সাফল্য না পেলেও নিজের দ্বিতীয় ও ইনিংসের ১৮তম ওভারে ঠিকই সফল হলেন মাহমুদউল্লাহ। ৩৮ বলে ২৮ রান করে বিপজ্জনক হয়ে ওঠা জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলরকে সাজঘরে ফেরান।

অফ স্টাম্পে থাকা একটি সাধারণ ডেলিভারিতে লফটেড ড্রাইভ খেলতে গিয়ে তিনি সহজ ক্যাচ তুলে দেন। মিড অফে বল তালুবন্দী করেন তামিম ইকবাল।

৩৯ বলে ২৮ রানে ফেরেন টেলর। রেজিস চাকাভার সঙ্গে তার দ্বিতীয় উইকেট জুটি থামে ৪২ রানে।

এরপর ফের জিম্বাবুয়েশিবিরে আঘাত হানেন মাহমুদউল্লাহ। বিপজ্জনক হয়ে ওঠা জুটি ভাঙলেন ডিওন মায়ার্সকে ফিরিয়ে।

একটু জোরের ওপর করা বল কাট করতে চেয়েছিলেন মায়ার্স। কিন্তু যথেষ্ট শর্ট ছিল না বলটি, মায়ার্সের শরীরের অনেক কাছেও ছিল। বল তার ব্যাটের কানায় লেগে আঘাত করে স্টাম্পে।

তৃতীয় উইকেটে ৭০ বলে ৭১ রানের জুটিও ভাঙেন মাহমুদউল্লাহ। মায়ার্স ফেরেন ৩৮ বলে ৩৪ রান করে।

ম্যাচের প্রথম উইকেটটি শিকার করেন সাকিব আল হাসান। আক্রমণে এসেই উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন।

সাকিবের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে মিডল স্টাম্পে থাকা লেংথ বল সুপ করার চেষ্টা করেন বাঁহাতি তাদিওয়ানাশে মারুমানি। ব্যাটে-বলে হয়নি। বল লাগে প্যাডে। আবেদনে সাড়া দিতে খুব একটা সময় নেননি আম্পায়ার।

১৯ বলে ৮ রান করে ফিরলেন মারুমানি। ৩৬ রানে থামে উদ্বোধনী জুটি।

চোট সেরে আজ মাঠে নেমে ৩ উইকেট পেয়েছেন মোস্তাফিজ। ৯.৩ ওভারে রান দিয়েছেন ৫৭টি। তাসকিন ১০ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে চাকাভার গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটি নিয়েছেন।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading