প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, করোনার কারণে এর আগে একদফা নির্বাচন পেছানো হলেও সংক্রমণ তুলনামুলক কম হওয়া এলাকাগুলোতে বৃষ্টির মধ্যে নির্বাচন চালিয়ে যেতে হবে। নির্বাচন অনুষ্ঠান যেন নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয় সে ব্যাপারে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেন তিনি।

পাশাপাশি প্রার্থীদের আচরণ বিধি মেনে চলার জন্য আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া বরিশালের নদী বেষ্টিত তিনটি উপজেলা হিজলা, মুলাদী ও মেহেন্দিগঞ্জের প্রয়োজনীয় সংখ্যক কোস্টগার্ড মোতায়েনের নির্দেশ দেন তিনি।

শনিবার (১২ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১ টায় বরিশাল সার্কিট হাউজে পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, বরিশালসহ যেসব এলাকায় করোনার সংক্রমণ কম, সে রকম ২০৮টি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে ২১ জুন নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে করোনার সংক্রমণ বেশি হওয়ায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে খুলনা অঞ্চলের ১৬৩টি স্থানীয় সরকার নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। আচরণবিধি ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

এদিকে বৈঠকে স্থানীয় রাজনীতির সমীকরণ আর অভ্যন্তরীণ দলাদলিতে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বরিশালে বিশৃঙ্খলার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন মাঠ পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তারা। পরিস্থিতি সামলাতে প্রত্যেক ইউনিয়নে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট চেয়েছেন তারা।

বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো, সাইফুল হাসান বাদল, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. শাহাদুদ্দিন খান-বিপিএম বার, রেঞ্জ ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন হায়দার প্রমুখ।

জেলা প্রশাসন ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসের আয়োজনে এ সভায় বিভাগের নির্বাচন কর্মকর্তারা, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading