বিটকয়েন ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১২ জনের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম মইনুল ইসলাম এ রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন— মো. ইসমাইল হোসেন ওরফে সুমন, আবুল বাশার রুবেল, আরমান পিয়াস, রায়হান আলম সিদ্দিকি, মো. জোবায়ের, মেহেদী হাসান রাহাত, মেহেদী হাসান, রাকিবুল হাসান, রাকিবুল ইসলাম, সোলাইমান ইসলাম, মো. জাকারিয়া ও আরাফাত হোসেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিউদ্দিন মিয়া আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট শাখাওয়াত হোসেনসহ কয়েকজন আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে এ রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে গত ২ মে দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উত্তর বাড্ডা এলাকা থেকে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এসময় ২৯টি ডেস্কটপ কম্পিউটার, তিনটি ল্যাপটপ, ১৫টি মোবাইল ফোন, একটি ট্যাবলেট ফোন ও কিছু নথিপত্র জব্দ করা হয়।
এরপর গত সোমবার কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেন, সুমন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করার পর অনলাইন মার্কেটিংয়ের কাজ শুরু করেন। শুরুতে একটা ছোট অফিস থাকলেও এখন বাড্ডায় একটি ভবনের তিনটি ফ্লোরে ৩২ জন কর্মচারী নিয়ে এই ব্যবসা করছেন। প্রতিষ্ঠানটি ২৪ ঘণ্টায় খোলা থাকে। বিটকয়েনের ব্যবসা করে ঢাকায় দুটি ফ্ল্যাট, প্লট, সুপার শপের মালিক হওয়ার তথ্যও দিয়েছে ইসমাইল।