ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দরে আটকাপড়া তিন শতাধিক বাংলাদেশির মধ্যে ৭০ জন মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) বেনাপোল স্থলবন্দর চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন।

কলকাতাস্থ বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশন অফিস থেকে অনাপত্তিপত্র (এনওসি) নিয়ে দেশে ফেরেন তারা।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সোমবার (২৬ এপ্রিল) থেকে ১৪ দিনের জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশের সরকার। এই সময় স্থলপথে পণ্যবাহী যানবাহন ছাড়া সব ধরনের লোক চলাচল বন্ধ থাকবে।

ইমিগ্রেশন ও স্বাস্থ্য বিভাগের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ওই ৭০ জন বাংলাদেশিকে বেনাপোলে আবাসিক হোটেলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তারা তাদের নিজ খরচে সেখানে অবস্থান করবেন।

এদিকে, বাংলাদেশে অবস্থানরত ৫৮ জন ভারতীয় নাগরিককে ফেরত নিচ্ছে ভারতীয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে আজ বুধবার (২৮ এপ্রিল) ২৮ জন ভারতে ফিরছে। ভারতের সঙ্গে সীমান্ত দিয়ে যাতায়াত বন্ধের ঘোষণা দেওয়ায় অনেক যাত্রী নিজ দেশে ফিরতে না পেরে আটকা পড়েছেন।

ভারতের পেট্রাপোল সীমান্তে অপেক্ষায় থাকা বাংলাদেশিরা জানান, অন্তত একদিন আগে বর্ডার বন্ধের ঘোষণা দেওয়া উচিত ছিল। তাহলে বর্ডারে এসে তাদের এই ভোগান্তিতে পড়তে হতো না। সেখানে আটকে থাকা যাত্রীদের মধ্যে বেশিরভাগ রোগী এবং শিক্ষার্থী। দুই দিন ধরে আটকে থাকায় অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে জানান তারা।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, ১৪ দিন ইমিগ্রেশন বন্ধের নির্দেশনাপত্র হাতে পেয়েছেন তিনি। সোমবার (২৬ এপ্রিল) সকাল থেকে যাত্রীদের পাসপোর্টের যে আনুষ্ঠানিকতা সেটি বন্ধ রাখা রয়েছে। হাইকমিশনার কর্তৃক বিশেষ অনুমতিপত্র নিয়ে আসা যাত্রীদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে, বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে। বন্দরের অভ্যন্তের ভারতীয় ট্রাকে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। বিশেষ করে ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভাররা বন্দরের অভ্যন্তর থেকে বেনাপোল বাজারে যেন চলে না যায়, এ জন্য নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক মামুন কবির তরফদার বলেন, ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভারদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে আনসার ও সিকিউরিটি ফোর্সের নজরদারি রয়েছে। ট্রাক ড্রাইভাররা যাতে বন্দরের বাইরে যেতে না পারে, এর জন্য সবসময় তৎপর আছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার আজিজুর রহমান বলেন, ভারত থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল কাস্টমস হাউস ও স্থলবন্দর যৌথভাবে জীবাণুমুক্ত করছে। ট্রাক চালকের হ্যান্ড স্যানিটাইজ, মাস্ক ও পিপিই নিশ্চিত করা হচ্ছে। এরপর তাকে বাংলাদেশে প্রবেশে করতে দেওয়া হচ্ছে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading