ম্যাজিস্ট্রেটের হুকুম ছাড়া শ্রমিককে পুলিশ গুলি করে হত্যা করায় ঘটনাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ।
তিনি বলেছেন, ‘পুলিশ স্বীকার করেছে ম্যাজিস্ট্রেটের হুকুম ছাড়া তারা শ্রমিকের ওপর গুলি করেছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের স্বীকার করার রেকর্ড আছে। পুলিশের সাথে সাথে একটি সিন্ডিকেট বাহিনীও গুলি করেছে।’
আজ রোববার বাঁশখালীর গন্ডামারা কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশের গুলিতে ৭ সদস্য নিহত এবং আহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন ও খাদ্য সহায়তা দিতে ৮ সদস্য টিম নিয়ে দুপুরে প্রকল্প এলাকায় আসেন। এসময় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘শ্রমিকদের নির্যাতন নিপীড়ন করছে। ওই সিন্ডিকেট বাহিনীকে খুঁজে বের করতে হবে। নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা দিতে হবে, কারণ নিহত ১৮ বছরের শ্রমিকরা আরও ৪০ বছর বেঁচে থাকত। বেঁচে থাকলে বহু আয় রোজগার করত।’
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘কয়লা বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের ৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ কিছুই নয়। সরকার পুলিশের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে। তাই পুলিশ প্রকৃত ঘটনা মুখ খুলতে পারছেন না। সরকার ১৬ বছরে যে উন্নয়ন করেছে তা গন্ডামারায় ভেসে উঠেছে। এত বড় প্রকল্প অথচ গন্ডামারায় রাস্তাঘাটের বেহালদশা। উন্নয়নের প্রতিচ্ছবি গন্ডামারার বেহাল রাস্তাঘাটে প্রকাশ পাচ্ছে।’
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন— ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল, গণসংহতি পরিষদ আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ শাকী, মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, মুক্তিযোদ্ধা ইসতিয়াজ আজিজ উলফাত, রাষ্ট্র চিন্তার সদস্য এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান প্রমুখ।