১৪২৭ সনের বিদায়ী চৈত্র সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী মাননীয়া শেখ হাসিনা বহুদিন পর একটা চমৎকার স্ক্রিপ্টেড ভাষণে নতুন বছরকে স্বাগত জানালেন। অযথা এদিক ওদিক শব্দ হাতড়ে বেড়ালেন না। আম, উম করলেন না। সুন্দর। পরিশীলিত। চমৎকার। এমনটাই হওয়া উচিত।
জাতির উদ্দেশে (যদিও চ্যানেল আই তাদের স্ক্রল-এ ‘জাতির উদ্দেশ্যে’ লিখেছে) দেয়া চমৎকার ভাষণটি কে বা কারা লিখেছেন জানি না। তবে সেটা নিশ্চয় তাঁর প্রেস উইং-এর ছাড়পত্র নিয়েই প্রধানমন্ত্রীর কাছে গেছে। তাঁর পাঠভঙ্গি দেখে মনে হলো তিনি রিহার্সালও দিয়েছেন। সুন্দর ভাষায় লিখিত, আরো সুন্দরভাবে পঠিত তাঁর ভাষণটিতে ‘করোনা’ প্রসঙ্গে দু’ দু’বার তিনি এটিকে একটি ‘মরণঘাতি’ রোগ বলেছেন। মরণঘাতি তো নয়, রোগটা ‘জীবনঘাতি’ কিংবা ‘প্রাণঘাতি’। মরণঘাতি বলে কোন শব্দ অভিধানে পেলাম না। যদি থাকেও, এর অর্থ হলো, ‘যাহা মরণকে আঘাত করে।’ করোনা আঘাত করে জীবনকে, মরণকে না। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে তাই ‘মরণঘাতি’ না হয়ে শব্দটি হওয়া উচিত ছিল ‘জীবনঘাতি’, যদিও অভিধানে ‘জীবনঘাতি’ শব্দটিরও অন্তর্ভূক্তি নাই।
অশিক্ষিত ও নির্বোধ মোসাহেবদের দায়িত্বশীল পদে নিয়োগ দেয়া ও তাদেরকে দিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ তৈরি করানোর মতো একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করানো পিএম অফিসের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা ও সব কিছুকেই তুচ্ছতাচ্ছিল্য করার প্রবণতাটিকে আবারো জাতির সামনে প্রকটভাবে তুলে ধরলো। এটা বন্ধ করা দরকার। তা’ না হলে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাথে জাতির মর্যাদাও ক্ষুণ্ণ হয়! শামসুদ্দিন পেয়ারার ফেসবুক থেকে সংগৃহীত ।
শামসুদ্দিন পেয়ারা , লেখক , সাংবাদিক ।