গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার চক্রান্ত মোকাবেলায় গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত করাই একমাত্র বিকল্প।

রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল-২১ উদ্বোধন ঘোষণা করে তিনি এসব বলেন।

তিনি বলেন, এদেশ নির্মাণে ছাত্রসমাজের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। পতাকা নির্মাণ ও উত্তোলন, স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠসহ ছাত্রলীগের ঐতিহাসিক ভূমিকা জাতির অস্তিত্বের সাথে জড়িত। ছাত্র সমাজ স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিসংগ্রামে নিয়ামক শক্তি হিসেবে ভূমিকা রেখেছে।

অনুষ্ঠানে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থা বাংলাদেশের রাজনীতিতে নৈরাজ্যের প্রণোদনা যোগাচ্ছে। প্রজাতন্ত্রের মালিকানা জনগণের। কিন্তু রাতের আঁধারে প্রশাসনের সহায়তায় ভোট সম্পন্ন করার মাধ্যমে জাতীয় রাজনীতিতে বড় ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টির দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে। সুতরাং রাষ্ট্রীয় নৈরাজ্য বন্ধ না করলে সামাজিক ও রাজনৈতিক নৈরাজ্য বন্ধ হবে না।

তিনি বলেন, অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে জনগণের সম্মতি ও সমর্থনের ভিত্তিতে সরকার গঠনের অধিকার ফিরিয়ে আনা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং মত প্রকাশের ওপর বাধা নিষেধের অবসান করার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। গণতন্ত্রের বিপরীতে গিয়ে আইনের শাসন নীতি-নৈতিকতা বিলীন করে দিয়ে দুর্নীতি ও অপচয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় আদর্শ বাস্তবায়ন করা যায় না। রাষ্ট্রীয় অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভ বিক্ষোভকে অতিরিক্ত বল প্রয়োগ বা রক্তপাতের মাধ্যমে নিরসন করার একমাত্র পন্থা কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি তৌফিক উজ জামান পীরাচার সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন জেএসডির কার্যকরী সভাপতি সা কা ম আনিসুর রহমান খান ও সিরাজ মিয়া। কাউন্সিল অধিবেশনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেএসডি কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট কে এম জাবের, অ্যাডভোকেট সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল, মোসাররফ হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা এস এম শামসুল আলম নিক্সন, হাজী আখতার হোসেন ভুইয়া প্রমুখ।

কাউন্সিল অধিবেশনে তৌফিক উজ জামান পীরাচা সভাপতি ও আব্দুল্লাহ আল রাফিনকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হয়। কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ হলেন- সহ সভাপতি গোলাম ফারুক সরকার, সামিয়া মোশারফ আলিফ, জাহিদ হাসান জসিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক- মাহামুদুল হাসান মুক্তার, মোস্তফা আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক-মোসলেহ উদ্দিন বিজয়, শাহরিয়ার সৌখিন, আতিকুর রহমান কাবুল প্রমুখ।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading