গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা, জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, সিন্দুকের মধ্যে বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা রেখে লাভ হবে না। এই অর্থ করোনা কালে দরিদ্র মানুষের কাজে ব্যবহার করতে হবে।

শনিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র কর্তৃক করোনা মহামারীতে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে হকার, শ্রমিক ও বেকার সাংবাদিকদের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সরকারের প্রতি এ আহ্বান জানান তিনি।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচিকে সফল করতে যারা সাহায্য করেছেন তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এই করোনায় মানুষের দুর্দশা লাঘবে প্রথম ধাপ হলো কর্মহীন মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসা। আড়াই কোটি দুস্থ পরিবারের জন্য এক মাসের খাদ্যের যোগান নিশ্চিত করতে হবে।

সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, সিন্দুকের মধ্যে বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা রেখে লাভ হবে না। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করে সঞ্চিত টাকা দরিদ্রের কাজে ব্যবহার করতে হবে। প্রশাসনকে ব্যবহার করে তিনি কর্মহীন, অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য সহায়তা পাঠিয়ে দেওয়ার আহবান জানান। পাশাপাশি দেরিতে হলেও ভ্যাক্সিন তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য তিনি সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

এ সময় তিনি অনুজীববিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীলকে দেশে ফিরিয়ে এনে ভ্যাক্সিন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য সরকারকে অনুরোধ করেন।

করোনা মহামারীতে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র পুনরায় অসহায়, দরিদ্র, কর্মহীন মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি শুরু করে। সীমিত সামর্থের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ঢাকা, গাজীপুর, আশুলিয়া এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ৬০০ পরিবারের জন্য এই খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। বিতরণের তালিকায় রয়েছেন হকার, শ্রমিক, মুক্তিযোদ্ধা, অসহায় মানুষ এবং কর্মহীন সাংবাদিকরা।

প্রাথমিকভাবে একটি পরিবারের ১ মাস চলার মতো খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি খাদ্য প্যাকে রয়েছে ২০ কেজি চাল, ৪ কেজি আটা, ৫ কেজি আলু, ১ কেজি মশুর ডাল, ১ কেজি ছোলা, ১ কেজি পিঁয়াজ, ১ কেজি চিনি, আধা কেজি লবন, আধা লিটার সয়াবিন তেল, ৮০ গ্রাম সরিষার তেল এবং ৩০ গ্রাম শুকনা মরিচ।

এ সময় বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. মনজুর কাদির আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফাত ও সাংবাদিক নেতা শফিউল আলম দোলন। ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি পরিচালনায় ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. মনজুর কাদির আহমেদ ঈদের আগে কমপক্ষে এক হাজার দরিদ্র পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অসহায় মানুষের সাহায্যে সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading