অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূলে প্রবল বর্ষণের কারণে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। এই বন্যাকে ‘জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ’ বলে সতর্কবাণী দিয়েছে দেশটির জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। 

বন্যার পানি থেকে বেশ কিছু মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলসের নিন্মাঞ্চলের অধিবাসীদের বাসা ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, সিডনির উত্তরাঞ্চলের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে কয়েকশ লোক আশ্রয় নিয়েছেন। খবর বিবিসির।

ব্যাপক মাত্রায় বন্যা হতে পারে এমন আশঙ্কায় অস্ট্রেলিয়ার সিডনির আরও অঞ্চলের অধিবাসীদের বাসস্থান ত্যাগ করে অন্যত্র আশ্রয় নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নিউ সাউথ ওয়েলস অঙ্গরাজ্যে ভারী বর্ষণ এখনো অব্যাহত থাকায় কর্তৃপক্ষ এ পদক্ষেপ নিয়েছে। কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দেয়, নিুভূমিতে বসবাস করছেন এমন যে কাউকে তাদের বাসস্থান ত্যাগ করতে হবে।

রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার গ্ল্যাডিস বেরেজিকলিয়ান সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘একশ বছরের মধ্যে একবার হয়’ এমন ঘটনা প্রত্যক্ষ করছে অঙ্গরাজ্যের মধ্য-উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলের কিছু অংশ।

গত কয়েক বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো সিডনির পানির প্রধান উৎস ওয়ারাগাম্বা বাঁধ উপচে পানি চলে আসতে থাকে।

নিউ সাউথ ওয়েলসের বন্যা আক্রান্ত অঞ্চল থেকে প্রচুর লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ এই বন্যাকে ‘জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ’ বলে বর্ণনা করেছে।

এসব অঞ্চলের প্রধান সড়কগুলো এখনো বন্ধ রাখা হয়েছে। বেরেজিকলিয়ান বলেন, সিডনির আরও হাজারো অধিবাসীকে তাদের বাসস্থান ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হতে পারে।

নিউ সাউথ ওয়েলসের বিভিন্ন জায়গায় তৈরি করা আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ইতোমধ্যে শত শত মানুষ এসে আশ্রয় নিয়েছে।

অঙ্গরাজ্যের কর্মকর্তারা জানান, আক্রান্ত এলাকার বেশ কিছু স্কুল সোমবার বন্ধ থাকবে। এসব এলাকার অধিবাসীদের বাসায় থেকে কাজ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, সিডনিতে আগামী ১২ ঘণ্টায় একশ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে এবং শহরের পশ্চিমে ব্লু মাউন্টেইন্স অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে তিনশ মিলিমিটার পর্যন্ত।

এ সপ্তাহের শেষ নাগাদ পর্যন্ত ভারী বর্ষণ ও তীব্র বাতাস অব্যাহত থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ কারণে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্যা কমার সম্ভাবনা নেই।

সিডনির অধিবাসীরা বন্যায় ডুবে যাওয়া রাস্তা ও তাদের বাড়ির পাশের পানির ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করছেন। আবহাওয়াবিদ আগাতা ইমিলস্কা প্রবল বর্ষণ ও তীব্র বাতাসের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘বিপজ্জনক পরিস্থিতি’ সম্পর্কে জনগণের সতর্ক হওয়া উচিত যা যে কোনো সময় পরিবর্তিত হয়ে যেতে পারে।

তিনি বলেন, ‘আপনার যদি ভ্রমণের দরকার না হয়, যদি আপনার আজ বাইরে যেতে না হয়, তাহলে আজ হলো বাসায় থাকার দিন।’

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading