প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুসহ দলের চার নেতার নামে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার আবেদন করে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ। ওই মামলার অনুমতি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আজ মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী আইনজীবী ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. মুসাব্বিরুল ইসলাম।

অ্যাডভোকেট মুসাব্বিরুল বলেন, গত মঙ্গলবার (৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্তমতে রাজশাহী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনুসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার আবেদন করা হয়। গত ১৪ মার্চ ওই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে মামলার অনুমতি মিলেছে এবং মামলার অনুমতির কাগজাদি গতকাল সোমবার (১৫ মার্চ) হাতে এসেছে।

মুসাব্বিরুল আরো বলেন, আজ মঙ্গলবার ওই মামলার প্রস্তুতি চলছে। বেলা ১১টার পর আদালত চালু হবে। আদালত চালু হলেই আমরা মহামান্য আদালতের কাছে বঙ্গবন্ধু ও তার সুযোগ্য কন্যাকে নিয়ে বিএনপি নেতা মিনুসহ ৪ জনের ধৃষ্টতামূলক মন্তব্যের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাব।

এর আগে গত ৯ মার্চ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদনটি জমা দেওয়া হয়।

মিজানুর রহমান মিনু ছাড়া অন্য অভিযুক্তরা হলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন।

আবেদনে বলা হয়, গত ২ মার্চ রাজশাহীতে বিভাগীয় সমাবেশ করে বিএনপি। মহানগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলনের সঞ্চালনায় সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে পূর্বপরিকল্পিতভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার উত্খাতের অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে নেতাকর্মী, সাংবাদিক, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতে মিজানুর রহমান মিনু প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘হাসিনা রেডি হও, আজ সন্ধ্যার সময়; কালকে সকাল তোমার না-ও হতে পারে। মনে নাই পঁচাত্তর সাল? পঁচাত্তর সাল মনে নাই?’

মামলার আবেদনে আরো বলা হয়, মিনুর এই ঘোষণার পর বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে উগ্রভাব ছড়িয়ে পড়ে। কিছু নেতাকর্মী সমাবেশের এই বক্তব্য ফেসবুকে লাইভ সম্প্রচার করেন। সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ অন্যরাও একইভাবে বক্তব্য দিয়ে ঘৃণা-বিদ্বেষ সৃষ্টি করেন। বেআইনিভাবে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকার উত্খাতের হুমকি দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকিসহ নির্বাচিত সরকার উত্খাতের প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়ে তাঁরা রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ করেছেন, যা বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের জন্য বিপজ্জনক ও হুমকিস্বরূপ।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading