রাজধানীর কলাবাগানে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ও-লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নুর আমিনের মৃত্যু বিকৃত যৌনাচারে হয় বলে জানিয়েছে সিআইডি।

আজ রবিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।

সিআইডি বলেছে, আনুশকাকে হত্যা ও ধর্ষণ মামলার সূত্র ধরে কৃত্রিম যোনাঙ্গ বা ফরেন বডি সম্পর্কে জানতে পারেন তারা। পরে তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম ও ওয়েবসাইট ব্যবহার করে নিষিদ্ধ কৃত্রিম যৌন উদ্দীপক পণ্য অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে। বৈধ পণ্য আমদানির নামে নিষিদ্ধ এসব পণ্য আমদানি করছিল বেশ কয়েকটি চক্র। তখন ৩২টির মতো ওয়েবসাইট চিহ্নিত করে সিআইডি। পরে, রাজধানীর বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে এই চক্রের ছয়জনকে গ্রেফতার করেন তারা। এ ঘটনায় কাস্টমসের কেউ জড়িত আছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির সাইবার ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি মো.কামরুল আহসান বলেন, ‘গত ৭ জানুয়ারি রাজধানীর মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের এক ছাত্রীর ধর্ষণের ফলে মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তে জানা যায়, বিকৃত যৌনাচারের ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যায় সে। বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুসারে, তাকে নির্যাতনের সময় এক ধরনের ফরেন বডি ব্যবহার করা হয়েছিল।’

মিরপুর থেকে গতকাল গ্রেফতার ছয়জন হলেন রেজাউল আমিন হৃদয় (২৭), মীর হিসামউদ্দিন বায়েজিদ (৩৮), মো.সিয়াম আহমেদ ওরফে রবিন (২১), মো. ইউনুস আলী (৩০), আরজু ইসলাম জিম (২২) ও চক্রের মূলহোতা মো. মেহেদী হাসান ভূইয়া ওরফে সানি (২৮)।
গত ৭ জানুয়ারি দিহানের মোবাইল কল পেয়ে বাসা থেকে বের হন আনুশকা। এরপর কিশোরীকে কলাবাগানের ডলফিন গলির নিজের বাসায় নিয়ে যান দিহান। পরে দিহানসহ চার বন্ধু আনুশকাকে অসুস্থ অবস্থায় ধানমন্ডির মডার্ন আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর বিকালে হাসপাতালে মেয়েটির মৃত্যু হয়।

চিকিৎসকরা জানান, আনুশকার শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছিল।

ইফতেখার দিহানের বাবার নাম আব্দুর রব সরকার। তিন ভাইয়ের মধ্যে দিহান সবার ছোট। গত বছর ম্যাপল লিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে ও-লেভেল শেষ করে জিইডি’র প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন দিহান।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading