বিশিষ্ট লেখক, গবেষক, প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদের জানাজা ও দাফনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তার মেয়ে জিহাদ মকসুদ দেশে ফেরার পর। তিনি এখন ভারতে অবস্থান করছেন। সৈয়দ আবুল মকসুদের ছেলে সৈয়দ নাসিফ মকসুদ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

নাসিফ মকসুদ বলেন, ‘আমার বোন এ মুহূর্তে ভারতে অবস্থান করছেন। তিনি দেশে ফিরছেন। তার ফেরার পর জানাজা ও দাফনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আবুল মকসুদ। এদিন সন্ধ্যা ৭টা ৯ মিনিটে মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় আবুল মকসুদকে ধানমন্ডির বাসা থেকে স্কয়ার হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, তিনি পথেই মারা গেছেন। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন তিনি।

আবুল মকসুদের মরদেহ এখন স্কয়ার হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।

বাংলা সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য তিনি ১৯৯৫ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। সৈয়দ আবুল মকসুদের কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৬৪ সালে এম আনিসুজ্জামান সম্পাদিত সাপ্তাহিক নবযুগ পত্রিকায় সাংবাদিকতার মাধ্যমে। এটি ছিল পাকিস্তান সোশ্যালিস্ট পার্টির মুখপত্র। পরে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি সমর্থিত সাপ্তাহিক ‘জনতা’য় কাজ করেন কিছুদিন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থায় (বাসস) যোগ দেন। ২০০৮ সালের ২ মার্চ বার্তা সংস্থার সম্পাদকীয় বিভাগের চাকরি ছেড়ে দেন।

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading