সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেদেশের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসনের প্রস্তাবে খালাস পেয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিশংসন প্রস্তাবের পক্ষে পর্যাপ্ত ভোট না পড়ায় সেটি বাতিল হয়ে গেছে।

এদিকে, অভিশংসন বিচারে সিনেটে খালাস পাওয়ার পরই নিজের পক্ষে আরেকবার সাফাই গাইলেন ট্রাম্প।

তিনি বলেন, ‘মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন আন্দোলন কেবল শুরু হল।’
অভিশংসনের হাত থেকে দ্বিতীয়বারের মতো রক্ষা পাওয়ার পর এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, ‘তার মতো অন্য কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্টকে এমন কিছুর মধ্য দিয়ে যেতে হয়নি।’

বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, ‘অনেক কাজ করা বাকি এবং আমেরিকার উজ্জ্বল ও সীমাহীন ভবিষ্যতের জন্য শিগগিরই একটি পরিকল্পনা নিয়ে আমরা ফিরব।’

ডেমোক্র্যাটদের লক্ষ্য করে ট্রাম্প বলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক মন্তব্য যে, আমেরিকার একটি রাজনৈতিক দলকে আইনের শাসনের অবজ্ঞা করা, আইন প্রয়োগকারীকে অপমান করা, উৎসাহী জনতার ও দাঙ্গাকারীদের অজুহাত দেখাতে বিনামূল্যে পাস দেওয়া হয়। তারা ন্যায়বিচারকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার হাতিয়ারে রূপান্তরিত করেছে। যারা তাদের সঙ্গে একমত নন তাদেরকে দমন করতে চান তারা। আমি সবসময় আইনের শাসনের প্রতি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে অটল ছিলাম এবং থাকব।

বিবৃতিতে ট্রাম্প তার আইনি দল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সকল সিনেটর এবং কংগ্রেসের সকল সদস্যকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

শনিবার সিনেটে ট্রাম্পকে অভিশংসনের উদ্দেশ্যে তোলা প্রস্তাবে পক্ষে ভোট পড়ে ৫৭টি। বিপক্ষে ৪৩টি। তবে ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করতে মোট ৬৭ সিনেটরের ভোটের প্রয়োজন ছিল।

ট্রাম্প যদি অভিশংসিত হতেন তাহলে পরবর্তীতে আর প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারতেন না। সেই হিসেবে ট্রাম্পের জন্য এখনও পথ খোলা রইল। তবে অভিশংসন ভোটের পর রিপাবলিকান সিনেটর মিচ ম্যাককনেল এক বিবৃতিতে বলেছেন, ক্যাপিটলে হামলার জন্য ট্রাম্পই দায়ী। সিনেটে খালাস পেলেও এখন পর্যন্ত আদালতে তাকে অভিযুক্ত করার সুযোগ রয়েছে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading