মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে হওয়া বিক্ষোভ দমনে সেনাবাহিনী কর্তৃক মানবতা লঙ্ঘনের অপরাধ তদন্ত করতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির পার্লামেন্টের ৩০০ সদস্য। এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এমন অবস্থার মধ্যেই জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের এক জরুরি সভায় মিয়ানমারবিষয়ক প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চলমান বিক্ষোভে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সরাসরি গুলি চালানোর প্রমাণ আছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তিনি সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণকে দেশটির জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে অবহিত করেছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের ডেপুটি হাইকিশনার নাদা আল নাসিফ বলেন, ‘কঠিন লড়াইয়ের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার পর মিয়ানমার আবারও সংকটের মধ্যে পড়েছে। দেশটিতে যে অভ্যুত্থান হয়েছে, তা সাধারণ নাগরিকদের জন্য চরম বিশ্বাসঘাতকতা।’
তবে দেশের কল্যাণে সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণ করেছে বলে দাবি করেছেন জাতিসংঘে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত। জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত মিন্ট তিউ জানান, নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির পর যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতে সামরিক বাহিনীর জন্য অন্য কোনো বিকল্প ছিল না। সংবিধান রক্ষার জন্যই সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণ করেছে।
অন্যদিকে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনকে বিবেকবর্জিত আখ্যা দিয়ে সরকারি কর্মীসহ সবাইকে কাজে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান মিয়ানমারের সেনাপ্রধান।
More Stories
২৫ ও ২৬ মার্চ জিয়া হত্যাকাণ্ড চালান: প্রধানমন্ত্রী
কেন আমাদের এখনও আন্তর্জাতিক নারী দিবস দরকার!
প্রজন্ম হোক সমতার সকল নারীর অধিকার