পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা দেশ গড়ার পরিবর্তে নিজেদের ভাগ্য গড়তে ব্যস্ত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান, এরশাদ, খালেদা জিয়া- যারাই ক্ষমতায় এসেছেন তারাই নিজেদের ভাগ্য নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। ব্যস্ত ছিলেন অর্থ সম্পদ নিয়ে। মানুষের জন্য তারা কিছু করেননি। করলে যে করা যায়, সেটা আমরাই প্রমাণ করেছি।’
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে যুবলীগের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
যুবলীগের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিল গত ১১ নভেম্বর। করোনার কারণে তখন আলোচনার সভার আয়োজন করা হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা সাড়ে তিন বছরের মধ্যে একটি যুদ্ধবিধস্ত দেশকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন। এরপর ২১ বছর এদেশের মানুষের জীবন থেকে সম্পূর্ণ হারিয়ে যায়। সাধারণ মানুষ হয় বঞ্চনার শিকার। তারা ছেঁড়া গেঞ্জি আর ভাঙা সুটকেসের গল্প শুনিয়েছে। কিন্তু ভাঙা সুটকেসই জাদুর বাক্স হয়ে গিয়েছিল আর ছেঁড়া গেঞ্জি তো তখন ফ্রেঞ্চ শিফন।’
তিনি বলেন, একটি জাতির জন্য ১২ বছর কিছু না। কিন্তু তারপরও আমরা যেভাবে এই দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছি, পথ দেখিয়ে যাচ্ছি- যদি এই পথ ধরেই এগোনো যায় তাহলে এদেশ অবশ্যই উন্নত-সমৃদ্ধ হবে।
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সময়ে যুবলীগ নেতা-কর্মীদের মানুষের পাশে থেকে কাজ করার বিষয়টির প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা মানবতার জন্য কাজগুলো যে করেছে, এটাই হচ্ছে সব থেকে বড়। মানুষের পাশে দাঁড়ানো, মানুষকে সাহায্য করে, এটাই সব থেকে বেশি প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই সময় থেকে আমরা দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। দুর্যোগ আসে, দুর্যোগ আসবে। কিন্তু সেই দুর্যোগের সময় আমাদের শক্ত থাকতে হবে। মানুষের পাশে থাকতে হবে। পরিকল্পিতভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে, কাজ করতে হবে।
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
অনুষ্ঠানে ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমসহ আরো অনেকে।