বর্তমান প্রযুক্তি দুনিয়ায় ভার্চুয়াল মাধ্যমের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। বিশেষত বৈশ্বিক করোনা ভাইরাস মহামারিতে অফিস-আদালত থেকে শুরু করে কর্মস্থলে, এমনকি সবকিছুতেই এই নির্ভরতা বহুগুণ বেড়েছে। ফলে আজকাল মোবাইলটা হাতে না থাকলে এক মুহূর্তও চলা কঠিন।

কিন্তু শুধু কি কাজের প্রয়োজনেই এই ফোন? না। বরং বিনোদন লাভেরও অন্যতম মাধ্যম হিসেবে এই ফোনকে ব্যবহার করছে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ। চলার পথে, আড্ডায়, কর্মস্থলে তো বটেই, ঘরে বসেও মোবাইলে মজে থাকতে দেখা যাচ্ছে ছেড়ে-বুড়ো সবাইকে।

পাশাপাশি কয়েকজন একসঙ্গে বসে মোবাইল ব্যবহার করছে। সবাই হয়তো কোনও ইউটিউবে কোনও গান কিংবা অনুষ্ঠান দেখছেন, অথবা নাটক-সিনেমা দেখছেন। সেক্ষেত্রে শব্দের কোলাহল এড়াতে ব্যবহার করা হচ্ছে হেডফোন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা এই হেডফোন কানে ঝুলিয়ে রাখা হচ্ছে। তাতে করে শ্রবণেন্দ্রিয়ের ওপর প্রভাব পড়ছে।

দীর্ঘক্ষণ হেডফোন ব্যবহারের ৫টি ক্ষতি এ প্রতিবেদনে তুলে ধরা হলো-

১. হেডফোন ব্যবহারের সময় ৯০ ডেসিবেল বা তার বেশি মাত্রার আওয়াজ সরাসরি কানে গেলে শ্রবণে সমস্যা হতে পারে।

২. হেডফোন কারও সঙ্গে ভাগাভাগি করে কখনোই ব্যবহার করবেন না। এতে করে সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

৩. অধিকাংশ হেডফোন এয়ার-টাইট ধরনের। তাতে করে কানে বাতাস প্রবেশ করতে পারে না। যা কানের জন্য সমস্যার কারণ হতে পারে।

৪. গবেষকদের মতে, হেডফোনে দীর্ঘ সময় উচ্চ শব্দে গান শুনলে সেটা খোলার পরও কিছুক্ষণ ভালোভাবে কানো শোনা যায় না। এটা খুবই মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।

৫. কখনোই হেডফোন দিয়ে উচ্চ শব্দে গান শোনা ঠিক নয়। তাতে করে চিরদিনের জন্য শ্রবণশক্তি হারানোর ঝুঁকি থাকতে পারে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading