ফেনী পৌরসভা নির্বাচনে কয়েকটি কেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শহরের একটি কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় দুই কাউন্সিলর প্রার্থী আহত হয়েছেন। পৌরসভার ১৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ডালিম প্রতীকের তাজুল ইসলাম জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পশ্চিম রামপুর সাইদী-মেহেদি পৌর বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে পাশে ৬/৭টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। তিনি কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে চাইলে আওয়ামী লীগ সমর্থীত কাউন্সিলর প্রার্থী উট পাখি মার্কার
দিদারুল ইসলাম দিদারের সমর্থকরা তাকে কুপিয়ে আহত করে। তার এজেন্টকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। এ কেন্দ্রের গাজর প্রতীকের নুরুল ইসলাম জানান, রাত থেকেই বহিরাগত সন্ত্রাসীরা কেন্দ্র দখল করে রাখে। সকালে তাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে। এ কেন্দ্রে ভোটারদের প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছেনা।  নারী ভোটারদেরও লাঞ্ছিত করেছে বহিরাগতরা।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে উট পাখি প্রতীকের দিদারুল ইসলাম দিদার বলেন, অভিযোগ অসত্য। ভোটে বিশৃঙ্খলা করার জন্য তারা এসব বলছে। সুষ্ঠু সুন্দর ভোট গ্রহণ চলছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রে দায়িত্বে সহকারী পুলিশ সুপার সদর সার্কেল আতোয়ার রহমান বলেন, হামলার ব্যাপারে পুলিশকে কেউ অভিযোগ করেনি। ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আলাল উদ্দিন আলাল বলেন, প্রত্যেকটি কেন্দ্র বহিরাগতদের দিয়ে দখল নিয়েছে সরকার দলীয় প্রার্থী। প্রত্যেকটি কেন্দ্র থেকে ধানের শীষ প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। সরকার দলীয় প্রার্থীর কর্মীরা কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দিয়ে বক্স ভরে ফেলেছে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রেই ভোটারদের যেতে বাধা দিয়েছে। নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সকাল থেকে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিএনপির এজেন্টরা নিজেরাই কেন্দ্রে আসেননি। তাদের কোন এজেন্টদেরবের করে দেওয়া হয়নি। জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, ফেনী পৌরসভায় শনিবার সকাল ৮টা থেকে ৪৫টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ইতোপূর্বে সবগুলো কেন্দ্রেকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করলেও ৮টি কেন্দ্রকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিভিন্ন বাহিনীর পাশাপাশি ১৮টি ওয়ার্ডে ১৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছে। এ পৌরসভায় ৯১ হাজার ৬৬২ জন
ভোটার তাদেরভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্ত মো. নাসির উদ্দিন পাটওয়ারী জানান, পৌর নির্বাচনে পাঁচজন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আলাল উদ্দিন আলাল, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থী ইয়ামিন, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী শাসনতন্ত্র প্রার্থী গোলামুর রহমান আজম এবং সিংহ প্রতীকে এনডিএম পার্টি সমর্থিত প্রার্থী তারিকুল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি আরো বলেন, ফেনী পৌরসভায় মেয়র পদের পাশাপাশি ১৮টি সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ৬টি মহিলা কাউন্সিলর পদের মধ্যে ৮টি সাধারণ ও একটি সংরক্ষিত মহিলা সহ ৯টিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ পৌরসভায় ৮ ওয়ার্ডে ২২কাউন্সিলর ও ১টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে দুজন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একক প্রার্থী থাকায় ইতোমধ্যে ১৫ জন কাউন্সিল জয়ী হয়েছে। সুত্র, মানবজমিন ।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading