রাজধানীর মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিনকে ধর্ষণের সময় আসামি ফারদিন ইফতেফার দিহান (১৮) যৌনশক্তি বর্ধক কোনো ওষুধ ও মাদক সেবন করেছেন কি-না তা পরীক্ষা করা হবে।

বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরার আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কলাবাগান থানার পুলিশ পরিদর্শক আ ফ ম আসাদুজ্জামান পরীক্ষার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। পরে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।

আবেদনে বলা হয়, কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা আসামি ফারদিন ইফতেফার দিহান ধর্ষণকালে কোনো মাদক সেবন করেছিলেন কি-না তা জানার জন্য তার ডোপ টেস্ট করা প্রয়োজন। এছাড়া তিনি ধর্ষণকালে কোনো যৌনশক্তি বর্ধক ওষুধ সেবন করেছিলেন কি-না এবং সেবন করলে কোনো ধরনের ওষুধ সেবন করেছিলেন তা দিহানের রক্ত থেকে নমুনা সংগ্রহপূর্বক পরীক্ষা করে বিশেষজ্ঞদের মতামত প্রয়োজন। আদালত সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ৮ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদের আদালতে দিহান দায় স্বীকার করে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এছাড়া ওই দিনই নিহত ছাত্রীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়নাতদন্ত শেষে ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ধর্ষণের ফলে যৌন ও পায়ুপথে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু হয়েছে।’

উল্লেখ্য গত ৭ জানুয়ারি দুপুরে দিহান ওই ছাত্রীকে মৃত অবস্থায় আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তখন কিশোরীর প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। খবর পেয়ে দিহানের তিন বন্ধু হাসপাতালে গেলে পুলিশ তাদের হেফাজতে নেয়। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলার একমাত্র আসামি করা হয় দিহানকে। যেখানে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ আনা হয়।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading