দেশে করোনাভাইরাস মহামারি ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা আবিষ্কৃত টিকা-কোভিশিল্ডের প্রয়োগে অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এ অনুমোদনের ফলে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস এ ভ্যাকসিন আমদানি করে দেশের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করতে পারবে।

বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ) এর উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, গত সোমবার ওষুধ প্রস্তুতকারী দেশীয় প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই টিকার আমদানির অনুমোদন করে ঔষুধ প্রশাসন।

অক্সফোর্ডের টিকা যৌথভাবে ভারতে উৎপাদন ও বিপণনের দায়িত্বে রয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট। আর বাংলাদেশে এই টিকা আনতে সেরামের সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ সরকার ও ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মা লিমিটেড। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশকে তিন কোটি ডোজ টিকা দেবে সেরাম।

মহামারি করোনার প্রকোপ শুরুর পর থেকে এর প্রতিষেধক আবিষ্কারে কাজ করছেন বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা। অনেক দেশ করোনার টিকার অনুমোদনও দিয়েছে। তবে টিকা আবিষ্কারের পরই যাতে পাওয়া যায় সেজন্য সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করে বেক্সিমকো।

মো. সালাউদ্দিন বলেন, ‘জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়ায়, বেক্সিমকো এই টিকা সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে বা কোনো টিকা কর্মসূচিতে সরবরাহ করতে পারবে।’

‘যুক্তরাজ্যের মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট রেগুলেটরি এজেন্সি (এমএইচআরএ) জরুরি ব্যবহারের জন্য এই ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেয়ায়, আমরাও অনুমোদন দিতে পেরেছি’- যোগ করেন সালাউদ্দিন।

এর আগে, আজ দুপুরে ডিজিডিএতে এক বৈঠকে ১৪ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি এর জরুরি অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করে বলে জানা গেছে।

এদিকে আজ জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দ্রুত করোনার টিকা আনার সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।

আর সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ভারত থেকে নির্ধারিত সময়েই বাংলাদেশ করোনার টিকা পাবে। চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়েই ভারত থেকে বাংলাদেশ করোনার টিকা আসবে, চুক্তির কোনো ব্যত্যয় হবে না।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading