পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন বলেছেন, ভ্যাকসিন নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। স্থাস্থ্যমন্ত্রী যেহেতু বলেছেন- এ মাসেই ভ্যাকসিন আসবে, সেহেতেু এ মাসেই ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে।

সোমবার বিকালে রাধানীর মিন্টু রোড়ের সরকারি বাসভবনে ভ্যাকসিন ইস্যুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে ভারতের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা ভ্যাকসিন দিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। সেহেতু ভ্যাকসিন না পাওয়ার কারণ নেই। এ মাসেই চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ ভ্যাকসিন পাবে।

এর আগে দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে করোনা ভ্যাকসিনের অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছ। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ভারতের ভ্যাকসিন দেশে পাওয়া যাবে।

প্রসঙ্গত, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট ‘কোভিশিল্ড’ নামে করোনার টিকা তৈরি করেছে। এই টিকা কেনার জন্য গত ১৩ ডিসেম্বর সেরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, মোট তিন কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার কথা বাংলাদেশের।

ভ্যাকসিন রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা বলেন, কয়েক মাসের জন্য ভ্যাকসিন রফতানির অনুমতি দেয়া হবে না। ভারতীয়রা যাতে যথাযথভাবে ভ্যাকসিন পায় সেজন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে ভারতের এক কোটিরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যা বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। দেশটিতে প্রায় দেড় লাখ লোক ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়ার পর মারা গেছে মারা গেছেন। করোনা ভ্যাকসিন বণ্টন পরিকল্পনার শুরুতেই ভারত ৩০ কোটি জনগণকে টিকা দিতে চায়। যার মধ্যে অগ্রাধিকার পাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশসহ মহামারি মোকাবেলায় সামনের সারির যোদ্ধারা।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading