ঢাকা মেট্রোপলিটন (ডিএমপি) পুলিশের কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘খ্রিষ্টান ধর্মের বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর গির্জাগুলোতে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’তবে কোনও হুমকি নেই বলে তিনি জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলের সেন্ট মেরীস ক্যাথেড্রাল চার্চের নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন তিনি।

বড়দিনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনও হুমকি নেই জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘উগ্রবাদীদের কেন্দ্রীয় অরগানাইজেশন থেকে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের অনুষ্ঠানের আগে স্থানীয়ভাবে আক্রমণের আহ্বান জানায়। এ ধরনের আহ্বান আগেও জানিয়েছে এবারও জানিয়েছে। এ ধরনের প্রচারণা তারা চালিয়ে থাকে। তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশে আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন কোনও তথ্য নেই।’

রাজধানীতে ৬৬টি গির্জায় এবার বড়দিনের উৎসব আয়োজন করা হয়েছে। গির্জাগুলোতে নেয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে কমিশনার বলেন, ‘আমরা চারস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। প্রতিটি গির্জার গেটে আমাদের ইউনিফর্ম পুলিশ আছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। প্রতিটি গির্জার আশেপাশে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাদা পোশাকে লোকজন নিয়োজিত থাকবে এবং সিটিএসবি সদস্যরাও নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া শহরের বিভিন্ন সড়কে পেট্রোলিং টিম থাকবে।’

কাকরাইলের সেন্ট মেরীস ক্যাথেড্রাল চার্চের পাল পুরোহিত ফাদার বিমল ফ্রান্সিস গোমেজ বলেন, ‘নিরাপত্তায় আমরা সন্তুষ্ট। করোনা পরিস্থিতির কারণে অনুষ্ঠান আয়োজনে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। বাইরের আলোকসজ্জা করা হয়নি। প্রার্থনায় জোর দেয়া হচ্ছে। দেশ ও বিশ্বের মানুষদের করোনার মতো মহামারি থেকে সুস্থ্য রাখার জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হবে।’

প্রার্থনায় আসা প্রত্যেক পুণ্যার্থীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসতে হবে। গির্জারর গেটে স্যানিটাইজার রাখা হয়েছে এবং ভেতরে সামাজিক দূরত্ব মেনে সবাইকে চলতে হবে বলে জানান ফাদার বিমল ফ্রান্সিস গোমেজ।

তিনি বলেন, ‘প্রার্থনার জন্য আসার ব্যাপারে আমাদের পক্ষ থেকে কোনও বাধানিষেধ নেই। তবে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।’

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading