নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘ডিসেম্বর যেমন বিজয়ের মাস, আবার পরাজয়েরও মাস। আমরা ১৬ ডিসেম্বরে বিজয় অর্জন করেছিলাম। সেই বিজয় কতখানি ধরে রাখতে পেরেছি আর এখন পর্যন্ত বিজয়ের সেই সুর কতখানি আছে সেটাই মুখ্য। কিন্তু আমাদের সবচেয়ে বড় দরকার ছিলো মুক্তিযুদ্ধ করার।’

একাদশ জাতীয় নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘মানুষের কথা বলার অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, মৌলিক অধিকার সেটা এই মাসের শেষ দিনের ঠিক আগের দিন ৩০ ডিসেম্বর যে ভোট হওয়ার কথা ছিলো তার আগের রাত্রে ডাকাতি করে ওরা নিয়ে গেছে। দুই বছর প্রায় পূর্ণ হলো সেই অধিকার ফিরিয়ে আনতে পারিনি! অতএব এই মাসকে একইসঙ্গে আমি যত বেশি সাফল্যের কারণে উদ্ভাসিত মনে করি, ঠিক ততখানি আমি পরাজয় ও গ্লানিবোধের মনে করি।’

বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ‘স্বাধীনতা আজ বিপর্যয়, নৈতিকতার অবক্ষয়, বিপন্ন মানবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) এ সভার আয়োজন করে।

ডাকসুর সাবেক এই ভিপি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে নৈতিকতা বিষয়টা মানুষ চর্চাই করে না। নৈতিকতা সবচেয়ে বেশি চর্চা করার কথা তো বিচারকদের। যারা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবেন, ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করবেন। আমাদের সংবিধানে যে সামাজিক ন্যায়বিচারের কথা বলা হয়েছে সেই সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার কথা বলবেন। এখন এই বিচারকরা যদি সব আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে দেন, আওয়ামী লীগের মিছিল করতে থাকেন তাহলে দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবে কে?‘

সংগঠনটির চেয়ারম্যান কে এম আবু তাহেরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ’র যুগ্ম মহাসচিব মনির হোসেন কাসেমী, ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা শওকত আমীনসহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading