খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খান বিশ্বসেরা পদার্থ বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন।
‘গুগোল স্কলার’ সংস্থা কর্তৃক বিশ্বের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানীদের সাইটেশনের সংখ্যার ভিত্তিতে প্রথম ৯শ’ জনের মধ্যে তিনি স্থান লাভ করেছেন।
রোববার (৬ ডিসেম্বর) খুবি’র জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক এস এম আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খান বর্তমানে লিয়েনে সৌদি আরবের কিং সৌদ ইউনিভার্সিটির পদার্থবিজ্ঞান এবং জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপনায় নিযুক্ত রয়েছেন। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
প্রফেসর ড. মোঃ হারুনর রশীদ খান ২০০৫ সালে জাপান সোসাইটি ফর দ্য প্রমোশন অব সায়েন্স (জেএসপিএস) ফেলোশিপের আওতায় পোস্ট ডক্টরাল প্রোগ্রাম সম্পন্ন করেন। এর আগে তিনি ১৯৯৯ সালে জাপানের সাগা ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ইতালির দি আব্দুস সালাম ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর থিওরিটিক্যাল ফিজিক্স (আইসিটিপি) এর নিয়মিত সহযোগী হিসেবে ৭ বছর নিয়োজিত ছিলেন। তিনি ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে প্রায় ৫ বছর সৌদি আরবের কিং সৌদ ইউনিভার্সিটিতে লিয়েনে অধ্যাপনায় নিয়োজিত আছেন।
আগামী ২০২১ সালের জানুয়ারিতে দেশে ফিরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে তার। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল, বোর্ড অব এ্যাডভান্সড স্টাডিজের সদস্য ছিলেন। এছাড়াও তিনি বিজ্ঞান প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন, পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিন প্রধান, খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ হলের প্রভোস্ট, রিসার্চ সেলের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এদিকে, প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খান বিশ্বসেরা পদার্থ বিজ্ঞানীর তালিকায় স্থান পাওয়ায় খুবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান তাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেন, তার এই কৃতিত্ব খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও ভাবমূর্তি বৃদ্ধি করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ, বিজ্ঞান প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. আফরোজা পারভীন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মো. রাশেদুর রহমান এবং ডিসিপ্লিনের সকল শিক্ষক অনুরূপ অভিননন্দন জানিয়েছেন।