শরীয়য়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদ উদ্দিন মাসুদকে ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে তার দ্বিতীয় স্ত্রী সুলতানা রাজিয়ার বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের পখমসাড় গ্রামে মাসুদের ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় সুলতানা রাজিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। আর গুরুতর আহত স্বামী ফরিদ উদ্দিন মাসুদকে (৫০) উদ্ধার করে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠান। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আহত ফরিদ উদ্দিন মাসুদ গোসাইরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক। তিনি উপজেলার বড়কালীনগর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান আকনের ছেলে। তার দ্বিতীয় স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া (৪০) গৃহিণী। তাদের দাম্পত্য জীবনে দুই মেয়ে রয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া বাজার বণিক সমিতির নির্বাচন চলছিল। এ নির্বাচনে সকাল থেকে সময় দিচ্ছিলেন ফরিদ উদ্দিন মাসুদ। মাসুদ দুপুরের খাবার খেতে বাসায় যান। সুলতানা রাজিয়া স্বামীসহ তার সঙ্গে থাকা অন্য অতিথিদের খাবার পরিবেশন করছিলেন। হঠাৎ পারিবারিক বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়।

একপর্যায়ে সুলতানা রাজিয়া পেছন থেকে দা দিয়ে তার স্বামীকে এলোপাতাড়ি কোপ দেন। মাসুদের সঙ্গে থাকা অতিথিরা তাকে উদ্ধার করেন। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠান।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গোসাইরহাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু বকর বলেন, ‘আওয়া্মী লীগ নেতা ফরিদ উদ্দিন মাসুদকে কোপানোর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। ঘটনাস্থল থেকে ওই নেতার স্ত্রী সুলতানা রাজিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। যে দা দিয়ে মাসুদকে কোপানো হয়েছে, সেটি জব্দ করা হয়েছে।’

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading