রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রায় বস্তিতে আগুন লাগে। আবার সে খবর পত্রিকা-টিভিতেও দেখা যায়।যদিও অধিকাংশ সময়ই আগুন লাগার কারণ জানা যায়ই না। কারণ, সেখানে আসলে আগুন লাগেই না। ঘরও পোড়ে না কোনও। সেখানে শুধু পুড়ে যায় হাজারো স্বপ্ন। 

নদী ভাঙনের মতো ভয়াবহ ট্রমা নিয়েই যাদের অধিকাংশ আসেন। খড়কুটোর অবলম্বনে এই মায়াপুরীতে আসেন বাঁচার জন্য! কিন্তু সেখানেও বাঁচার কোন রাস্তাই থাকে না। একদিন নদীর মতো আগুনও তাদের সবকিছু নিয়ে যায়। শুধু তাদের নির্বাক চাহনিই থেকে যায়!

আরও কিছু থাকে কি? হয়তো থাকে নতুন করে গড়ে তোলার স্বপ্ন। একটু আশ্রয় আর দুবেলা খাবার জোটানোর আশা। তাতে ভর করে আবারও শুরু করেন নতুন কর্মযজ্ঞ। কিন্তু সেটাও খুব বেশি স্থায়ী হয় না। তার আগেই স্বপ্ন পোড়াতে চলে কোনও আগুনের শিখা। এভাবেই চলছে, সামনেও চলবে। শুধু তাদের স্বপ্নই ফুরোয় না। যেটা হয়তো ফুরানোরও না।

এমনই স্বপ্ন পোড়ানে আগুনে মধ্যরাতে শতাধিক ঘর পুড়েছে ঢাকার মহাখালীর সাত তলা বস্তিতে। রাজধানীর অভিজাত গুলশান নিকেতনের পশ্চিম পাশের ওই এলাকাতে সোমবার মধ্যরাতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট রাত পৌনে ১২টার দিকে খবর পেয়েই আগুন নেভাতে কাজ শুরু করে। পরে রা১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

যেখানে আগুন লেগেছে, তা বস্তি এলাকা হলেও বেশ কিছু পাকা বাড়ি ছাড়াও একটি বাজার রয়েছে সেখানে। আগুনের শিখা অনেক দূর থেকেও দেখা যাচ্ছিল। কয়টি ঘর পুড়েছে- কেউ সঠিক সংখ্যা বলতে পারেননি।  বস্তিতে কত ঘর ছিল, তা নির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি। কেউ কেউ বলছেন দেড় থেকে দুইশত ঘর পুড়ে গেছে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading