নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মামলা অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার (৯ অক্টোবর) সকালে নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সুপার জানান, পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নির্দেশে মামলা দুটি পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে মামলা দুটি বেগমগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মোস্তাক আহমেদ তদন্ত করছিলেন।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) ২ নম্বর আসামি আব্দুর রহিম ও স্থানীয় ৯ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করলে ১৬৪ ধারায় তারা জবানবন্দি দেন।

তাদের জবানবন্দি গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) গুলজার আহমেদ জুয়েল।

গুলজার আহমেদ জুয়েল জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে রিমান্ড শেষে বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আব্দুর রহিম ও ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হোসেন সোহাগকে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয়। এরপর, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসফিকুল হকের আদালত-১-এ জবানবন্দি দেন ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হোসেন সোহাগ।

অপর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শোয়েব উদ্দিন খানের আদালত-২-এ আব্দুর রহিম জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

প্রসঙ্গত, গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে ওই নারীর স্বামী তার সঙ্গে দেখা করতে তার বাবার বাড়ি একলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে এসে ঘরে ঢুকেন। বিষয়টি দেখে ফেলেন স্থানীয় দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার। রাত ১০টার দিকে দেলোয়ার তার লোকজন নিয়ে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে পর পুরুষের সঙ্গে অনৈতিক কাজ ও তাদের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর শুরু করেন। এক পর্যায়ে বিবস্ত্র করে নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করেন। ৪ অক্টোবর দুপুরে ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ঘটনায় এ পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading