রাশিয়ায় জোড়া বৈঠকের পরেও লাদাখ-পরিস্থিতি বদলের ইঙ্গিত মিলল না। সরকারি সূত্রের খবর, লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) উত্তেজনা কমানোর বিষয়ে নীতিগত ভাবে সম্মত হলেও সেনা প্রত্যাহার নিয়ে সম্মত হয়নি চীন ।

সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর পার্শ্ববৈঠকে বৃহস্পতিবার দু’দফায় আলোচনা করেন ভারতের পররাষ্ট্র এস জয়শঙ্কর এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী  তথা স্টেট কাউন্সিলর ওয়াং ই। প্রথমবার মধ্যাহ্নভোজন পর্বের বৈঠকে রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভও ছিলেন। সন্ধ্যায় দ্বিতীয় বৈঠকে জয়শঙ্কর এবং ওয়াং লাদাখ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।

বিদেশ মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনায় সায় দিয়েছেন ওয়াং। কিন্তু নিজেদের ‘সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও অখণ্ডতা বজায় রাখা’র কথা বলে বুঝিয়ে দিয়েছেন, আপাতত প্যাংগং হ্রদের উত্তরের ফিঙ্গার এরিয়াগুলি থেকে পিপলস লিবারেশন আর্মির পিছু হটার সম্ভাবনা কার্যত ইচ্ছে নেই চীনের ।

এর আগে গত শুক্রবার এসসিও সম্মেলনের ফাঁকে চীনা  প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফংহির সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক করেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। কিন্তু গত ১৫ জুন গালওয়ানে ভারত ও চীনা  ফৌজের রক্তাক্ত সংঘর্ষের পর রাজনৈতিক স্তরের সেই প্রথম বৈঠকে এলএসি নিয়ে কোনও রফাসূত্র মেলেনি। প্যাংগং হ্রদের উত্তর ও দক্ষিণে ‘মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছনো’ (ডিসএনগেজমেন্ট) এবং ‘সেনা সংখ্যা কমানো’ (ডিএসক্যালেশন) নিয়েও ঐকমত্য হয়নি। সুত্র , আনন্দবাজার পত্রিকা ।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading