উত্তর কোরিয়ার দাপুটে শাসক কিম জং উনের অসুস্থতা এবং বোন কিম ইয়ো জংয়ের হাতে ক্ষমতা যাওয়া নিয়ে জোর জল্পনার ইতি হয়েছে। তবে এই জল্পনায় নাকি অত্যন্ত অখুশি উত্তর কোরিয়ার সর্বেসর্বা কিম। আর এমন সময়ই গত কয়েক সপ্তাহে একবারও প্রকাশ্যে দেখা যায়নি বোন কিম ইয়ো জং-কে।

সংবাদমাধ্যম রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৭ জুলাই শেষবার প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছিল কিম জং উনের বোনকে। এতেই নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্য়মের দাবি, ছোট বোনকে হত্যা করিয়েছেন কোরিয়ার কিমই।

এর আগেও পরিবারের সদস্যদের হত্যা করিয়েছেন কিম। এর আগে ২০১৭ সালে মালয়েশিয়ার বিমানবন্দরে সৎ ভাইকে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল কিম জং উনের বিরুদ্ধে। যদিও পররাষ্ট্র বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ভাইয়ের থেকে ক্ষমতা হস্তান্তর জল্পনার জেরেই আপাতত প্রকাশ্যে আসছেন না কিম ইয়ো জং। উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের পর, সে দেশের শাসন ব্যবস্থায় ‘সেকেন্ড ইন কম্যান্ড’ ধরা হয় তার বোন কিম ইয়ো জংকে।

আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কিম-রাজত্বে সময় ভালো যাচ্ছে না উত্তর কোরিয়ার! করোনা-লকডাউন পর্বে ধাক্কা খেয়েছে উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতি। দেশে করোনাভাইরাস থাবা বসাতে পারেনি দাবি করলেও আর্থিক মন্দা নিয়ে কথা বলতে নারাজ পিয়ংইয়ং। গত দু’দশকে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে দেশের অর্থনীতি। তবে আর্থিক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সামরিক বাজেটে কাটছাঁট করতে নারাজ কিম। এর উপরই নিত্য শাসকের স্বৈরাচারী সিদ্ধান্তের খবর প্রকাশ্যে আসছে।

এদিকে, পারিবারিক ধারা মেনেই কিম জং ইয়ো সম্পর্কে বেশি তথ্য জানা যায় না। তবে কিম জং উনের অসুস্থতার খবরের পর থেকেই ধোঁয়াশার পিছনে থাকা ৩৩ বছরের এই তরুণীই আন্তর্জাতিক আলোচনার অন্যতম কেন্দ্র। ২০১৮ সাল থেকেই রকেটের গতিতে খবরের শিরোনামে উঠে আসেন কিম জং ইয়ো। দাদা কিম জং উনের পরে বোন কিম জং ইয়ো-এর হাতেই উত্তর কোরিয়ার শাসনভার যাবে বলে দাবি আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের। উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে দাদা কিমের ‘চিফ অব স্টাফ’ হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন কিম জং ইয়ো। এছাড়াও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কোরিয়ার কিমের মিত্রতা স্থাপনের চেষ্টাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বোনের।

মার্কিন কূটনীতিবিদ মাইকেল ম্যাডন দাবি করেছেন, ছেলের চেয়েও মেয়ের বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বেশি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন উত্তর কোরিয়ার প্রয়াত শাসক ও কিম জং উনের বাবা, কিম জং ইল। তাই অল্প বয়সেই রাজনীতি শিক্ষার জন্য সে দেশের অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ কিম কি নম-এর কাছে মেয়েকে মাঠে নামান তিনি। সূত্র: এই সময়

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading