উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং-উনের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে নানা জল্পনার পর অবশেষে মঙ্গলবার তাকে দলের এক বৈঠকে দেখা গেছে। বৈঠকে তিনি রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষকে করোনাভাইরাস মহামারি ও জলোচ্ছ্বাস নিয়ে সৃষ্ট আসন্ন বিপদের বিষয়ে প্রস্তুত থাকতে সতর্ক করেছেন।

উত্তর কোরিয়া এখনো কোনো কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা স্বীকার করেনি। ধারণা করা হচ্ছে, এই দরিদ্র্য জাতির উপর ভাইরাসের বৃহত্তর প্রাদুর্ভাব ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলবে।

এদিকে, টাইফুন ‘বাভি’ এই সপ্তাহের শেষে উত্তর কোরিয়ায় আঘাত হানবে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার পলিটব্যুরোর এক সভায় বক্তব্যে কিম বলেন, মারাত্মক ভাইরাসটি রোধ করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের প্রচেষ্টায় কিছু ত্রুটি রয়েছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বিষয়টি বিবরণ ছাড়াই প্রকাশ করেছে।

পিয়ংইয়ং দীর্ঘদিন ধরে জোর দিয়ে বলছে, দেশে কোনো করোনা সংক্রমণ নেই। যদিও পর্যবেক্ষকরা এটি নিয়ে সন্দেহ করে আসছিলেন। কোনো আক্রান্ত ঘোষণা করা না হলেও মিডিয়াগুলো বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে শনাক্ত না হওয়ার দাবির পুনরাবৃত্তি করেনি।

এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার নিকটবর্তী এক সীমান্ত শহরে করোনায় একজন আক্রান্তের সন্দেহে শহরটি লকডাউন করা হয়েছে। তবে রাষ্ট্রীয়ভাবে আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি।

তবে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের স্বাস্থ্যের বিষয় নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা স্বাভাবিক হলেও এ পর্যন্ত সবই মিথ্যে বলেই প্রমাণিত হয়েছে।
যদিও কিম জং-উন সম্পর্কে চিন্তিত থাকা বিশ্ব জার্নালে সকলের উদ্বেগের বিষয় হলো, তিনি ভালো আছেন। কিন্তু তার রাজ্যের দুই কোটি পাঁচ লাখ মানুষ স্পষ্টতই ভালো নেই।

টাইফুন বাভি দেশটিকে ভয়াবহ ক্ষতির মুখে ফেলতে পারে যেখানে দেশটিতে ইতোমধ্যে দীর্ঘতম বর্ষা মৌসুমের রেকর্ড রয়েছে। এছাড়াও আগস্টে প্রবল বৃষ্টিপাতে ব্যাপক বন্যা হয়েছে।

সূত্র : বিবিসি

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading