Bangladesh's Tamim Iqbal attends a training session at The County Ground in Taunton, south-west England, on June 16, 2019, ahead of their 2019 World Cup match against West Indies. (Photo by Saeed KHAN / AFP) (Photo credit should read SAEED KHAN/AFP via Getty Images)

লন্ডন থেকে গতকাল শনিবার সকালে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। সেখানে অনেকগুলো পরীক্ষা করানো হয়েছে তার। সবগুলো রিপোর্ট পেতে এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মতো লাগবে বলে জানিয়েছেন এই ক্রিকেটার। রিপোর্ট পাওয়ার পর বোঝা যাবে তার রোগ কতটা গুরুতর।

তামিম বলেন, ‘লন্ডনে অনেকগুলো টেস্ট করানো হয়েছে আমার। অনেক সময় নিয়ে টেস্টগুলো করেছেন তারা। সবগুলো টেস্টের রিপোর্ট আসতে আরও ৭ থেকে ১০ দিন লাগবে। এজন্য ডাক্তারই বললেন, এতদিন অপেক্ষা না করে চাইলে দেশে ফিরতে পারি। রিপোর্ট পাওয়ার পর তারা যদি মনে করেন যে ওষুধেই সেরে যাবে, তাহলে অনলাইনেই পরামর্শ দেবেন। আর সার্জারির মতো কিছুর প্রয়োজন হলে আমাকে আবার লন্ডন যেতে হবে।’

‘চেষ্টা করেছিলাম রোগের ধরন সম্পর্কে ডাক্তারের কাছ থেকে একটু ধারণা পেতে। কিন্তু সব রিপোর্ট না দেখে তারা কিছুই বলতে চাননি। আপাতত অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই,’ যোগ করেন এই ক্রিকেটার।

এর আগে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ২৫ জুলাই লন্ডনে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। যাওয়ার আগে তিনি বলেছিলেন, প্রায় তিন মাস আগে থেকে পেটের ব্যথা প্রচণ্ড ভোগাচ্ছে তাকে। মাঝেমধ্যেই হানা দিয়ে অনেক সময় টানা ১২ ঘণ্টাও থাকে সেই ব্যথা। দেশে চিকিৎসা নিয়ে কোনো রোগ ধরা না পড়ায় সিদ্ধান্ত নেন দেশের বাইরে যাওয়ার।

প্রয়োজনে লম্বা সময় থাকতে হতে পারে, এই মানসিক প্রস্তুতি নিয়েই গিয়েছিলেন তামিম। তবে ফিরতে পারলেন এক সপ্তাহ পরই। দেশে ফিরে দেশের সফলতম ব্যাটসম্যান জানান তার শরীরের অবস্থা ও চিকিৎসার অগ্রগতি।

ঈদের আগে বিসিবির তত্ত্বাবধানে একক অনুশীলনে ফিরেছেন ক্রিকেটারদের অনেকে। ঈদের বিরতি শেষে আবার তা শুরু হতে পারে ৮ বা ১০ অগাস্ট। এ ব্যাপারে তামিম জানান, এখনো অনুশীলন শুরু করা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেননি তিনি। রোগ শনাক্ত হওয়ার পর অবস্থা বুঝে চিকিৎসকের পরামর্শ শুনে তারপর ভাববেন মাঠে ফেরার ব্যাপারে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading