প্রকাশের জন্য প্রস্তুত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার রেজাল্ট। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর যেকোনো দিনই প্রকাশ করা হবে এই ফল। যেহেতু এ বছর ফল প্রকাশে সংবাদ সম্মেলনের মতো কোনো আনুষ্ঠানিকতা নেই তাই ঈদের আগে বা পরে যেকোনো দিন এই ফল প্রকাশ হতে পারে। এ বছর শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই মোবাইলের মাধ্যমে তাদের ফলাফল জানতে পারবে।

শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, ঈদের আগে বা পরে যেকোনো দিন প্রকাশ করা হবে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার রেজাল্ট। বোর্ডের কাজ শেষ করে ফলের একটি খসড়া অনুলিপি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকেই প্রধানমন্ত্রীর দফতরে যোগাযোগ করে একটি নির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারণ করে সেই মোতাবেকই প্রকাশ করা হবে ফল। অন্য দিকে এ বছর যেহেতু মোবাইলের এসএমএসের মাধ্যমেই শিক্ষার্থীরা তাদের ফল জানতে পারবে তাই প্রস্তুতি হিসেবে ইতোমধ্যে সিমের প্রি-রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু করেছে মোবাইল অপারেটরগুলো।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল তৈরির কাজ শতভাগ শেষ করেছেন তারা। ফল প্রকাশের জন্য প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রী যে দিন সময় দেবেন সে দিনই ফল প্রকাশ করা হবে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্র আরো জানায়, করোনার কথা মাথায় রেখে এবার ঘরে বসেই যাতে শিক্ষার্থীরা ফল পেতে পারে সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফল প্রকাশের আগের দিন পর্যন্ত মোবাইলে প্রি-রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার এটুকুই ব্যতিক্রম। আগে ফল প্রকাশের দিন এসএমএস করলে ফিরতি মেসেজে জানিয়ে দেয়া হতো ফল। কিন্তু এবার আগেই রেজিস্ট্রেশন করে রাখতে হবে। ফল প্রকাশের সাথে শিক্ষার্থীর মোবাইলে ফল এসএমএসে চলে যাবে। ফল প্রকাশের দিন স্বাস্থ্য বিধি মেনে ঘরে থেকে সরাসরি মোবাইলে ফল পেতে মেসেজ করতে হবে। সে জন্য টাইপ করতে হবে এই নিয়মে: ঝঝঈ<>ইড়ধৎফ ঘধসব<>জড়ষষ<>ণবধৎ। আর এটি পাঠিয়ে দিতে হবে ১৬২২২ নাম্বরে।

এ দিকে শিক্ষামন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বিগত ৮ বছরের মধ্যে এ বছর প্রথম পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে এসএসসির রেজাল্ট প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। অবশ্য করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণেই রেজাল্ট প্রকাশে এ বছর এই বিলম্ব হচ্ছে। যদিও পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর এ বছর ফলাফল প্রকাশের জন্য সম্ভাব্য তারিখ ৭ মে টার্গেট করেই সব কাজকর্ম শুরুও হয়েছিল। কিন্তু করোনার কারণে সেটি সম্ভব হয়নি। গত বছর এই রেজাল্ট প্রকাশ করা হয়েছিল ৬ মে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়েছে এসএসসি, দাখিল ভোকেশনালের লিখিত পরীক্ষা। আর গত ১ মার্চ দাখিলের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়। গত ৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছিল এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। আর ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চ এসএসসির ব্যবহারিক পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। আর ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চের মধ্যে এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনালের ব্যবহারিক পরীক্ষা নেয়া হয়েছে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading