বাংলাদেশ পুলিশের ৩৮ তম ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) নিরস্ত্র পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে মৌলিক প্রশিক্ষণে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩০৭ জন অংশগ্রহণকারী। যদিও করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে তাদের প্রশিক্ষণ আটকে আছে। তবে করোনাভাইরাসের কারণে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বিবেচনায় দেশ সেবায় অংশ নিতে এ নিয়োগ চাচ্ছেন লিখিত ও স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কিন্ত মৌখিক পরীক্ষায় বাদ পড়া এমন আরও ২ হাজার ৭০০ এসআই প্রার্থী। সোমবার (১৮ মে) এ দাবিতে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একটি মানববন্ধনেরও আয়োজন করেছেন তারা।
৩৮ তম সাব-ইন্সপেক্টর ব্যাচে অপেক্ষমাণ তালিকা হতে নিয়োগ চাই’ ব্যানারে ইতোমধ্য এসআই পদে চাকরিপ্রত্যাশী এই প্রার্থীরা বেশ অনেকদিন ধরে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বরাবর ওই আবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার প্রার্থীর মধ্যে শারীরিক ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ৪ হাজার ১২৫ জন প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি আমরা। এর মধ্য থেকে সিলেকশন বোর্ড ১ হাজার ৪০২ জনকে সাময়িকভাবে সুপারিশ করে। এদের মধ্য থেকে ৯৫ জন প্রার্থী স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চূড়ান্ত ভেরিফিকেশনে বাদ যায়।
এছাড়াও গত কয়েক বছরের নিয়োগ কার্যক্রম পর্যালোচনা করে দেখা গিয়েছে এক বছর মৌলিক প্রশিক্ষণ চলাকালীন সময়ে সাময়িকভাবে নির্বাচিতদের মধ্যে অনেকেই অন্যান্য প্রথম শ্রেণির সরকারি চাকুরিতে জয়েন করেন, বলেও ওই আবেদনে জানান তারা।
এ বিষয়ে সাদেক হোসেন নামের একজন প্রার্থী বলেন, গত ৭ বছরে সবচেয়ে কম সুপারিশ করা হয়েছে ৩৮ এস.আই ব্যাচে। বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতিতে সুপারিশকৃতরাও এখনো ট্রেনিং এ যেতে পারেনি। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আকুল আবেদন, তিনি যেন বিশেষ বিবেচনায় ৩৮ তম বহিরাগত ক্যাডেট এস.আই নিয়োগ পরীক্ষায় শারীরিক ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সবাইকে সুপারিশ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩৭ তম এস.আই ক্যাডেট নিয়োগে ভাইভা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় ২০০০ প্রার্থী। মেডিকেল ও চূড়ান্ত ভেরিফিকেশনে বাদ পড়ে ৮৬ জন। মৌলিক প্রশিক্ষণের জন্য সুপারিশ করা হয় বাকি ১৩০৭ জনকে। ১ বছর মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষে চূড়ান্তভাবে ওই পদে যোগ দেন ১৭৫৯ জন বহিরাগত ক্যাডেট। ট্রেনিং চলাকালীন সময়ে অন্যান্য চাকুরিতে চলে যায় ১৫৫ জন। ওই নিয়োগে ভাইভায় উত্তীর্ণদের মধ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ভেরিফিকেশনে সমস্যা থাকা এবং অন্যান্য সরকারি চাকরিতে জয়েন করার কারণে ২৪১ জন চূড়ান্তভাবে বহিরাগত ক্যাডেট এস আই পদে যোগ দেননি।