করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) মোকাবিলায় বাংলাদেশের জন্য প্রাথমিকভাবে ১০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক; টাকার অংকে যা ৮৫০ কোটি টাকা। করোনা মোকাবিলায় সরকারের জরুরি স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে এই অর্থ ব্যয় হবে। ‘কভিড-১৯ জরুরি প্রতিকার এবং মহামারি রোধে প্রস্তুতি’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে দেশব্যাপী নির্বাচিত পরীক্ষাগারের উন্নয়ন, করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ সুবিধা বৃদ্ধিসহ স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত করা হবে।

শনিবার এ বিষয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টিমবন বলেন, কভিড-১৯ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছি। কভিড-১৯ মহামারি প্রতিরোধে সরকারের জাতীয় পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংকের এ সহায়তা ব্যবহার হবে। নির্বাচিত হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় মেডিকেল যন্ত্রপাতি, ভেন্টিলেশন এবং আইসোলেশন ইউনিট প্রতিষ্ঠা করা হবে। সেই সঙ্গে কভিড-১৯ নির্ণয়ে কিট সংগ্রহ করা হবে।

বিশ্বব্যাংক উল্লেখ করেছে, তাদের লক্ষ্য নির্বাচিত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ জেলা পর্যায়ে করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্যসেবার সুবিধা তৈরি করা; সংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধ ইনস্টিটিউটসহ সংশ্নিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো উন্নত করা; হাসপাতালে নতুন আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রতিষ্ঠা করাসহ হাসপাতালগুলোর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করা; স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা ব্যবস্থাসহ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গাইডলাইন তৈরি করা। হাসপাতালগুলোতে কর্মরতদের সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি মোকাবিলায় সদস্য দেশগুলোকে দেওয়ার জন্য এক হাজার ৪০০ কোটি ডলারের জরুরি তহবিল ঘোষণা করেছে বিশ্বব্যাংক। ১৬ হাজার কোটি ডলার আগামী ১৫ মাসের মধ্যে সদস্য দেশগুলোকে দেওয়ার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। জরুরি তহবিল থেকে বাংলাদেশকে প্রাথমিকভাবে ১০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার অনুমোদন গতকাল দেওয়া হলো। বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডা) থেকে এই ঋণ দেওয়া হবে। ২ শতাংশ সুদে ৫ বছর রেয়াত কালসহ ৩০ বছরে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading