করোনা পরিস্থিতির কারণে আদালত বন্ধ থাকায় ইতোমধ্যে যেসব মামলায় জামিন ও অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, সেসব ক্ষেত্রে আদেশের কার্যকারিতা বাড়ানো হয়েছে। আদালত খোলার পরও তারা দুই সপ্তাহ সময় পাবেন।

শনিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমানেরর পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি, আপিল বিভাগের বিচারপতিরা ও আইনমন্ত্রী বৈঠক করে এ সিন্ধান্ত নিয়েছেন। পরে এ বিষয়ে ‘জামিন অস্থায়ী/নিষেধাজ্ঞার আদেশ বর্ধিতকরণ এবং বিশেষ আইনের অধীনে আপিল দায়ের’ শীর্ষক এক নোটিশ জারি করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর।

নোটিশে বলা হয়েছে, এ ছাড়া বিশেষ আইনের মামলায় আদেশ ও রায়ের বিরুদ্ধে আদালত খোলার দিন আপিল দায়ের করা যাবে। এতে আরো বলা হয়, উপযুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, দেশব্যাপী করানোভাইরাসের কারণে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সব আদালতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সংকটময় সময় বিবেচনা করে ইতোমধ্যে যে সব ফৌজদারি মামলায় আসামিকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত জামিন দেওয়া হয়েছে বা যে সব মামলায় উচ্চ আদালতে অধস্তন আদালতের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণের শর্তে জামিন দেওয়া হয়েছে, বা যে সব দেওয়ানি মামলায় নিদিষ্ট সময়ের জন্য অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা/স্থিতাবস্থার আদেশ দেওয়া হয়েছে, সে সব মামলার আদেশের কার্যকারিতা আদালত খোলার তারিখ থেকে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত বর্ধিত হয়েছে মর্মে গণ্য হবে।

এছাড়া সকল বিশেষ আইনের আওতাধীন মামলার আদেশ/রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টসহ সকল আপিল আদালতে খোলার তারিখে আপিল দায়ের করতে হবে। এক্ষেত্রে রায়ের সহি মোহর নকল (সত্যায়িত অনুলিপি) না থাকলেও আপিল দায়ের করা যাবে। তবে আপিল শুনানির পূর্বে সহি মোহর নকল অবশ্যই দাখিল করতে হবে।

নোটিশে আরো বলা হয়, দেশের প্রত্যেকটি জেলায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জরুরি মামলার জন্য এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট কর্মরত রয়েছেন।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading