ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ ভারতের উপকূলে আঘাত হানার পর কিছুটা দুর্বল হয়ে ৪ মে শনিবার বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে। তবে এরই মধ্যে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে। পুরো খুলনাজুড়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মেঘলা আবহাওয়া বিরাজ করছে।
এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ফণীর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় নদ-নদীগুলোর জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের থেকে কমপক্ষে ৫ ফুট ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। ফলে কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপ ও বটিয়াঘাটা উপজেলার ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষ চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।
অপরদিকে এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে খুলনা জেলা প্রশাসন। উপূলীয় তিন উপজেলা কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপে মোতায়েন করা হয়েছে সাড়ে তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবক। একই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় খুলনার ২৪২টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, খুলনার তিন উপকূলীয় উপজেলা কয়রায় ১ হাজার ২৫০, দাকোপে ১ হাজার ১৩৫ ও পাইকগাছায় ১ হাজার স্বেচ্ছাসেবকসহ প্রায় সাড়ে তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে তাদের আগেই প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি জেলার সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
শুদ্ধস্বর/এইচ বি
More Stories
রোজা ছিলেন ফুডপান্ডার রাইডার, চারতলায় যাননি বলে মারধর
অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে আপনারা মরবেন না: বাবুনগরী
দুই দিনের রিমান্ডে ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল