বাংলাদেশের রাজনীতি আবার একটি নতুন মোর নিয়েছে বিএনপি এমপিদের শপথ নেয়া এবং বিএনপি মহাসচিবের শপথ না নেয়ার মধ্য দিয়ে । বিএনপি এমপি রা শপথ নিয়েছেন এটা খুব অস্বাভাবিক কিছু নয়, তারা প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও জিতে এসেছেন বা তাদের জিততে দেয়া হয়েছে আমরা যাই বলিনা কেন তারা যে জিতেছেন এটাই এখন বাস্তবতা । যারা জিতেছেন তারা তাদের জেতাটা কাজে লাগাতে চাইবেন এটাই স্বাভাবিক , দল থেকে তাদের অনেকবার বলা হয়েছিলো শপথ না নিতে কিন্তু তারা অনেক হিসাব করে দেখেছে তাদের লাভ ক্ষতি । আমিও আগেও লিখেছিলাম বিএনপি সহসাই কোন আন্দোলন করে নিরেপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন আদায় করতে পারবে সে সম্ভাবনা আপাতত নেই , আগামী নির্বাচনটা পাঁচ বছর পরেই হবে এটাই এখনকার বাস্তবতা । এই অবস্থা বুঝতে পেরেই বিএনপির এমপি রা শপথ নেয়ার বিষয়ে অবিচল ছিলেন , দল অনেক চেষ্টা করেও তাদের শপথ থেকে নিবৃত্ত করতে পারছিলো না ।তাদের বহিষ্কারের হুমকিও দেয়া হয়েছিলো , বহিস্কারের হুমকির মুখে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক    তাদের অভয় দিয়েছিলেন বহিস্কার হলেও তাদের সংসদ সদস্য পদ যাবে না ।সরকারের এই ঘোষণার ফলে বিএনপির  এমপি রা শপথ নেয়ার বিষয়ে উৎসাহী হয়েছিলেন , বিএনপি র নীতিনির্ধারকরা এটা বুঝতে পেরেছিলেন দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা করে এরা শপথ নেয়ার এদের বহিষ্কার করলে সরকার এদের দ্বারা আরেকটা বিএনপি গঠন করতে পারে , এতে করে দলের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টি হতে পারে , এরা পার্লামেন্টে থাকার ফলে এদের রাজনৈতিক গুরুত্বও থাকবে , ফলে একটি নতুন সঙ্কট সৃষ্টি হবে , এটা ভেবেই দলের স্থায়ী কমিটি তারেক রহমানকে সিধান্ত নেয়ার দায়িত্ব দেন । তারেক রহমানও বাস্তবতা উপলদ্ধি করে শপথ নেয়ার পক্ষে অবস্থান নেন । আমার মনে হচ্ছে বিএনপির শপথ নেয়ার পক্ষে নতুন অবস্থানের এটাও অন্যতম কারন । দ্বিতীয় হচ্ছে মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরের শপথ না নেয়া , এ বিষয়ে  দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর রায় শপথের দিন একটি সাক্ষাতকারে বলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সিধান্ত মহাসচিবের জন্যও প্রযোজ্য । সবাই শপথ নিলে মহাসচিবের শপথ না নেয়ার কারন দেখিনা । কিন্তু আজ মহাসচিব শপথ না নেয়ার ফলে তার সংসদ সদস্য পদ শূণ্য হোল , তিনি বলছেন কৌশলগত কারনে তিনি শপথ নেন নি , সেই কৌশল টা কি তা জানার জন্য অপেক্ষা করার জন্য বলেছেন ,আবার আজকে একটি দৈনিক পত্রিকার সাথে সাক্ষাত কারে বলেছেন ব্যক্তিগত এবং    শারীরিক কারণের কথা । শারীরিক কোন কারন না তা সবাই বোঝে , তা হলে কেন তিনি শপথ নিলেন না এর কারন খুঁজতে গেলে অনেক কিছুই ধারনা করা যায় প্রথমত তারেক রহমানের সিধান্তের সাথে তিনি একমত ছিলেন না , আরেকটি কারন হতে পারে একটি সমঝোতা হয়েছে খালেদা  জিয়াকে মুক্তি দিয়ে নির্বাচন করার যোগ্য করে এই শূন্য আসনে নির্বাচনের সুযোগ দিয়ে সংসদে আনা হবে , আপাত দৃষ্টিতে এটা অসম্ভব হলেও বাংলাদেশের রাজনীতিতে অসম্ভব বলে কিছু নেই, তাই আমাদের ধারনা করতেও অসুবিধা নেই  যা আগামীতে ঘটবে তাই দৃশ্যমান হবে  ।

20190430_233352

 

হাবিব বাবুল

প্রধান সম্পাদক , শুদ্ধস্বর ডটকম

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading