বিগত পাঁচ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে ৫২ শতাংশ। শুক্রবার বারাণসীতে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী যে হলফনামা জমা দিয়েছেন, তাতেই এই তথ্য জানা গিয়েছে। নরেন্দ্র মোদির ঘোষণা অনুযায়ী, তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ২.৫১ কোটি টাকা। পাঁচ বছর আগে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১.৬৫ কোটি টাকা। ২০১৯-এর ৩১ মার্চের হিসেবে তাঁর হাতে মোট নগদের পরিমাণ ৩৮,৭৫০ টাকা। ব্যাংকে গচ্ছিত রয়েছে ৪,১৪৩ টাকা। স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া’য় ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে ১.২ কোটি টাকা। রোজগারের উৎস হিসেবে প্রধানমন্ত্রী দেখিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাওয়া বেতন এবং ব্যাংকের আমানত থেকে পাওয়া সুদ।

গান্ধীনগরে প্রধানমন্ত্রীর একটি সাড়ে ৩ হাজার বর্গফুটের প্লট আছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। মোদির দাবি, ২০০২ সালে ওই জমিটি ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিলেন তিনি। গত পাঁচ বছরে প্রধানমন্ত্রী বার্ষিক আয় যথাক্রমে দেখিয়েছেন, ৯.৬৯ লক্ষ টাকা (২০১৪), ৮.৫৮ লক্ষ টাকা (২০১৫), ১৯.২৯ লক্ষ টাকা (২০১৬), ১৪.৫৯ লক্ষ টাকা (২০১৭), ১৯.৯২ লক্ষ টাকা (২০১৮)। প্রধানমন্ত্রী বেতন বাবদ নিজের দপ্তর থেকে এখনও ১ লক্ষ ৪০ হাজার ৮৯৫ টাকা পাবেন। মোদির সম্পত্তির মধ্যে উল্লেখযোগ্য চারটি সোনার আংটি। আয়কর দপ্তর এখনও প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৮৫ হাজার টাকা পাবে। হলফনামায় প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী যশোদাবেনের আয়ের উৎস অজানা হিসেবে দেখিয়েছেন।

এদিকে, দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা ডিগ্রি বিতর্কেরও অবসান ঘটিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি হলফনামায় জানিয়ে দিয়েছেন গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ১৯৮৩ সালে এমএ পাস করেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী স্নাতক হয়েছেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৮ সালে। ১৯৬৭ সালে গুজরাট বোর্ড থেকেই এসএসসি পাস করেন মোদি। দীর্ঘদিন ধরেই প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি নিয়ে নানান জল্পনা ছিল। এবারের হলফনামার পর সেই সব জল্পনার অবসান ঘটল।

শুদ্ধস্বর/এইচ বি

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading