ভারতে ‘মিষ্টি’ বিতর্ক যেন থেমেও থামছে না। ভারতে লোকসভার নির্বাচনের দিন যত সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তত বেশি আলোচিত হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যনার্জির ‘মিষ্টি’। আর এবার মমতা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তিনি এমন মিষ্টি দেবেন যে তার দাঁত ভেঙে যাবে।

বুধবার দিল্লিতে লোক কল্যাণ মার্গে নিজের বাসভবনে বলিউড সুপারস্টার অক্ষয় কুমারের সাথে এক অরাজনৈতিক সাক্ষাৎকারে মোদি বলেন, বিরোধী দলের একাধিক নেতার সাথে তার ভালো সম্পর্ক রয়েছে। প্রতিবছরই মমতা দিদি আমাকে কুর্তা ও মিষ্টি পাঠান।

সকালে মোদির ওই মন্তব্যের পর বিকালে রাজ্যটির হুগলী জেলার শ্রীরামপুরে একটি জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা বলেন, বাংলার সংস্কৃতি হল মিষ্টি ও চা দিয়ে অথিতিকে স্বাগত জানানো। আমরা তাদের বিশেষ উৎসবেও শুভেচ্ছা জানাই। এটাই আমার ঐহিত্য। আমরা অথিতিদের মিষ্টি ও উপহার দিয়ে স্বাগত জানাই কিন্তু বিজেপিকে একটা ভোটও দেবেন না।
বৃহস্পতিবার ফের প্রধানমন্ত্রীকে পাল্টা নিশানা করেন মমতা। বীরভূমের সিউড়িতে এক জনসভা থেকে মমতা বলেন, রাজনৈতিক মাইলেজ পাওয়ার জন্যই মোদিজি কুর্তা ও মিষ্টি সৌজন্যতাকে ব্যবহার করছেন।

শুক্রবার মমতা পশ্চিম বর্ধমান জেলার রানীগঞ্জে এক নির্বাচনী জনসভাও বলেন, আগে মোদি এখানে আসেননি। এখন বারে বারে বাংলায় উঁকি মারছেন। উনি বন্যার সময় আসেন না, গরমেও আসেন না। নির্বাচন এলেই কেবল বলেন বাংলা থেকে ভোট নিতে হবে। আমি বলবো বাংলা থেকে আপনাকে রসগোল্লা দেবে। কি রসগোল্লা দেবে? সাধারণ মিষ্টি নয়। আমরা মাটি দিয়ে মিষ্টি বানাবো আর ওর মধ্যে কাঁকড় দিয়ে দেবো। লাড্ডুর ভিতর যেমন কাজু বাদাম ও কিসমিস দেয়া হয়-ঠিক তেমনি। আর যখন খেতে যাবে তখন পুরো দাঁত ভেঙে যাবে। এমন মিষ্টি দেবো।

রানীগঞ্জের পর আসানসোলেও একটি নির্বাচনী জনসভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই জনসভায়ও মমতা ‘মিষ্টি’ ইস্যুতে কথা বলেন। তিনি বলেন, দাঙ্গা করার পরও আপনারা পাঁচ বছরের জন্য মোদিকে বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু এই পদের জন্য তিনি কোন ভাবেই যোগ্য নন। ওনাকে এই পদে মানায় না। গত পাঁচ বছরই বিদেশ ঘুরে বেড়িয়েছেন। নির্বাচনের আগে তিনি বলেছিলেন সবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ রুপি করে দেবেন। কিন্তু নোট বাতিলের নামে উল্টে তিনি পকেট কেটে নিয়েছেন।

মমতার দাবি, আমি এই ধরনের প্রধানমন্ত্রী আগে কখনও দেখিনি। উনি যদি ক্ষমতায় আসেন তবে আপনাদের স্বাধীনতা খর্ব হয়ে যাবে। সব বিক্রি করে দেবে।

মোদি-অমিত শাহ জুটিকে ‘দুর্যোধন’ ও ‘দুঃশাসন’ বলে আখ্যা দেন মমতা। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বর্তমান বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র উদ্ধত ব্যবহারের অভিযোগ তুলে তাকে একটি ভোটও না দেওয়ার অনুরোধ জানান মমতা।

শুদ্ধস্বর/এন.হাসান

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading