ভোট প্রচারে এসে এক চাষির কাছ থেকে পেঁয়াজের মালা ‘উপহার’ পেলেন বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। এমন অভিনব উপহার পেয়ে শতাব্দীও মজা করে ওই চাষিকে বললেন, ‘‘ধন্যবাদ আপনাকে, হাত মেলান। আগামী বেশ কয়েক মাস আর আমাকে রান্নার জন্য বাজার থেকে পেঁয়াজ কিনতে হবে না!’’
বৃহস্পতিবার লোবা এলাকায় প্রচার ছিল শতাব্দী রায়ের। দুবরাজপুর থেকে বেরিয়ে উত্তরডাহা ধগড়িয়া, পলাশডাঙা গ্রামে ভোট প্রচার সেরে লোবায় পৌঁছে লোবা কালী বাড়িতে পুজো দেন শতাব্দী। হুড খোলা গাড়িতে প্রচারের ব্যবস্থা ছিল। লোবা থেকে ফরিরবেড়া গ্রামে এসে প্রচার চালানোর সময় এলাকার এক পেঁয়াজ চাষি শেখ আতাউল বিদায়ী সাংসদকে মস্ত একটি পেঁয়াজের মালা দেন।
বিরোধীদের কটাক্ষ, আলুর রোগ লেগেছে পেঁয়াজেও। বেশি ফলনের জন্য এ বার পেঁয়াজের দাম তলানিতে ঠেকেছে। ন্যায্য দাম না পাওয়ার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলন নেমেছেন পেঁয়াজ চাষিরা। দিন কয়েক আগে রাস্তায় পেঁয়াজ ফেলে হুগলির পান্ডুয়া, পোলবা ও বলাগড় ব্লকে প্রতিবাদও দেখিয়েছেন চাষিরা। বলাগড়েই মাত্র ১৭ দিনের ব্যবধানে আত্মঘাতী হয়েছেন দুই চাষি। বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠেছে রাজ্য সরকারকে সহায়ক মূল্যে পেঁয়াজ ও আলু কিনতে হবে। এই যেখানে পরিস্থিতি, সেখানে শাসকদলের প্রার্থীকে পেঁয়াজের মালা আদতে ‘উপহার’ না ‘উপহাস’—সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।
সূত্র আনন্দবাজার