তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচারে নেমে বিতর্কে জড়িয়েছেন বাংলাদেশের সুপারস্টার অভিনেতা ফেরদৌস। ইতিমধ্যে তার ভিসা বাতিল এবং তাকে ব্ল্যাক লিস্টেড করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এখানেই শেষ নয়, এবার ফেরদৌসের পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারণায় নামা আরেক অভিনেতা গাজী আবদুন নুরের মাধ্যমে তৃণমূলের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামির যোগসাজশ নিয়ে গন্ধ খুঁজছে বিজেপি!

দলটি কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ বলেছেন, ”ফেরদৌসসহ দুই বাংলাদেশি অভিনেতাকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা উচিত ছিল। যে-তৃণমূল নেতা বা কর্মীরা তাদের ডেকে এনেছেন, তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা উচিত। বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামির সঙ্গে তৃণমূলের যোগসাজশের ফলেই এমনটা ঘটেছে বলে আমাদের সন্দেহ। তাই আমরা এই ঘটনায় এনআইএ তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দিচ্ছি।”

এক কদম এগিয়ে রাজ্যসভার বিজেপি সদস্য স্বপন দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘এই ঘটনাকে ছোট করে দেখলে চলবে না। কারণ, এই উদাহরণ থেকে গেলে পাকিস্তান থেকেও কেউ এসে এখানে ভোটের প্রচারে নেমে পড়তে পারেন।’’।এ সব অভিযোগের বিষয়ে অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী অফিসার সঞ্জয় বসু জানান, এই ঘটনায় জেলা নির্বাচন অফিসার তথা জেলা শাসকের রিপোর্ট চাওয়া হয়। সেই রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হয় নির্বাচন কমিশনে। ওই কমিশন সূত্রের ব্যাখ্যা, কোনও রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীর হয়ে বিদেশিদের প্রচারের বিষয়টি নির্বাচনী বিধিভঙ্গ কি না, সেটা কোথাও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। সম্প্রতি কোথাও এই ধরনের বিষয় সামনে আসেনি। সেই জন্যই বিষয়টি নিয়ে কমিশনকে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশি দুই অভিনেতার বিরুদ্ধে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রচারণায় নামার অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে অভিনেতা ফেরদৌসের ভিসা বাতিল ও তাকে ব্ল্যাক লিস্টেড করেছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অন্য অভিনেতা হলেন জনপ্রিয় টিভি সিরিয়াল ‘রানি রাসমণি’-র অভিনেতা গাজী আবদুন নুর।

শুদ্ধস্বর/ এইচ বি

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading