ঐতিহাসিকরা গবেষণা করলে দেখতে পাবেন ১৯৭১ সালের ১১ মার্চ বেলা ১১.৩০ মিনিট এ চিটাগাং আওয়ামী লীগ অফিসে স্বাধীন বাংলা ঘোষণা পত্র তৈরি করেন, এম এ হান্নান,শাহ্‌ এ জাহান চৌধুরী, রাখাল চন্দ্র বণিক ও আব্দুল্লাহ আল ফারুখ  । এম এ হান্নান প্রথমে আগ্রাবাদ রেডিও ষ্টেশনে যান। ওখান থেকে কালুরঘাট ট্রান্সমিটার সেন্টারে, সেখান থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা প্রথম পাঠ করেন। তারপর ঐ দিন বিকালে স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্রের এর নামে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন রেডিওর কর্মচারী বেলাল চৌধুরী, এরপর ২৭ মার্চ তৃতীয় বার স্বাধীনটার ঘোষণা পাঠ করেন ডঃ মাহফুজ ও ডঃ ইউসুফ নামের দুজন সদস্য । ২৭ মার্চ চতুর্থ বার স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন জিয়াউর রহমান, সময়টা ছিল বিকাল তিনটা ত্রিশ মিনিট। জিয়া যে ঘোষণা দেন  তাতে স্পষ্ট উল্লেখ আছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের পক্ষে ঘোষণা করছি ।চতুর্থ ও পঞ্চম এই দুবার জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন ।তবে সেদিন ২৫ মার্চ কালো রাত্রিতে পাকিস্তানী হানাদার কর্তৃক নিরীহ নিরস্ত্র বাঙ্গালি হত্যার প্রতিবাদে দেশব্যাপী যে প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু হয়েছিলো তা মূলত ছিল সশস্ত্র প্রতিরোধ, এই যুদ্ধে লিপ্ত হয় বাংলার ছাত্র যুবক জনতা আর ই পি আরের বাঙ্গালি সদস্যরা তাই ২৫ মার্চ বিকালে সেনাবাহিনীর একজন মেজরের স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ অবশ্য যুদ্ধেরত মানুষদের প্রেরণা জুগিয়েছিল ,তবে এটাকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার অপপ্রয়াস মাত্র।বাঙ্গালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের অবদান অতুলনীয়। তার নেতৃত্বে ও তার নামে বাঙ্গালি জাতি স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহন করে। আরও যাদের অনুপ্রেরনায় বাঙ্গালি জাতি সত্তার বিকাশ হয়েছিলো তারা সবাই বাঙ্গালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। কাজী আরেফ আহমেদ, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক , স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াসের সদস্য ।

(জাসদ নেতা কাজী আরেফ আহমেদ এর লেখা (১৯৯৩ গণকন্ঠ)

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading