গণহত্যার এই রাত
পষ্ট মনে আছে আজো
পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে রক্তস্নাত রাত।
হানাদার বাহিনীর নির্বিচার গোলার আগুনে
নীলক্ষেত বস্তিতে উঠেছিল গগণবিদারি হাহাকার
সব পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল, শুধু
‘জয়বাঙলা’ স্লোগানটি কামান-গোলার শব্দ ভেদ করে
দুলেছে মাথার পরে বাতাসের অদৃশ্য সুতোয়।
অগ্নিজিভ নাপামের সর্বগ্রাসি দাবানলশিখা
থেকে থেকে আকাশের কালো ছাত স্পর্শ করেছিল।
দু একটি চোরাগোপ্তা মিছিল তখনো
‘স্বাধীনতা’ ‘স্বাধীনতা’ বলে
অন্ধকারে আনাগোনা করছিল ঠিকই,
ক্রমে তারা স্তব্ধ হয়ে গেলে
মানুষের মাংসপোড়া গন্ধে বাতাস ভারি হয়ে যায়।
পিলখানা রাজারবাগ দীর্ঘক্ষণ যুদ্ধ করে অবশেষে
অবসাদগ্রস্ত হয় বাঙালির হৃদয়ে ঢুকে যায়।
সে এক রাত্র ছিল বটে
পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে রোমহর্ষক!
যে রাতে পৃথিবী তার সব ভাষা ভুলে গিয়ে শুধুই করেছে
কোরবানির পশুর মতো ছটফট ছটফট,
যে রাতে মানুষ তার অতি প্রিয় ঈশ্বরের কাছে
বুলেটে আহত হয়ে প্রাণভিক্ষা চেয়েছিল,
নিষ্ঠুর ঈশ্বর তাতে করেননি কোন কর্ণপাত।
সামরিক সাজোঁয়া যান উম্মত্ত হাতির মতো
দল বেঁধে নেমেছিল নরমেধযজ্ঞ করবে বলে।
মানুষের রক্ত মেখে সে রাতে ঘাতকদল নৃত্য করেছিল
জিঘাংসায় উম্মত্ত অশ্লেষার রাক্ষুসি বেলায়।
এই রাতে
হিংস্র পাকিস্তানী সৈন্যদের হাতে
মানবতা
-
Kazi Zawad বহু আগে বলেছি। শুনিসনি। বলেছি ৭০ বছর পর যদি সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙ্গতে পারে তাহলে ইংরেজের বানানো ভারত কেনো ভাঙ্গবে না। ঠিক পৃথিবীর সবদেশেরই মানচিত্র বদলেছে।