বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে চলৎশক্তিহীন করার জন্য সুচিকিৎসা করানো হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, দেশনেত্রীকে আদালতে আনার আগে অসুস্থতায় থরথর করে কাঁপছিলেন। তাকে কোন চিকিৎসা না দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জোর জবরদস্তি করে হুইলচেয়ারে বসিয়ে ক্যাংগারু কোর্টে হাজির করা হয় ।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, হাতের মুঠোয় প্রাণ নিয়ে যিনি এই স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে জীবন মৃত্যুকে পরম ভৃত্য করে রণাঙ্গনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অসীম সাহসে, যার ঘোষণায় গোটা জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো, সেই বীরউত্তম শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সহধর্মিনী দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে হত্যা করতে উন্মত্ত হয়ে উঠেছে বর্তমান গণবিচ্ছিন্ন অবৈধ সরকার।
তিনি বলেন, আজ আর দেশের মানুষের বুঝতে এতটুকু বাকি নেই যে, প্রধানমন্ত্রীকে চরম প্রতিহিংসার বাসনা চরিতার্থ করতে পেয়ে বসেছে। তিনি পরিত্যক্ত অন্ধকার স্যাঁতসেতে কারাগারে গুরুতর ও চূড়ান্ত অসুস্থ দেশনেত্রীর যন্ত্রণার ছটফটানি দেখে আনন্দ উপভোগ করছেন।
সরকার খালেদা জিয়াকে জীবিত দেখতে চায় না মন্তব্য করে রিজভী বলেন, আজ দিবালোকের মতো পরিস্কার যে,তিনি অকল্পনীয় জনপ্রিয় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জীবিত দেখতে চান না। চিকিৎসার অভাবে গুরুতর অসুস্থ ৭৪ বছরের একজন নারী দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে প্রহসনমুলক বিচারের জন্য কারাগারে স্থাপিত মিডনাইট ইলেকশনের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্যাঙ্গারু আদালতে টেনে-হিচড়ে প্রায় প্রতিদিনই হাজির করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর কথা ও কাজের মধ্যে বিস্তর ব্যবধান মন্তব্য করে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা বলেন-আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা, আমার ক্ষমতার দরকার নাই, আবার মিডনাইট নির্বাচনের মাধ্যমে অবৈধ প্রধানমন্ত্রিত্ব ধরে রাখেন। তিনি তো নৃশংসতায় হিটলার-হালাকু খানদের ছাড়িয়ে গেছে ।