সম্প্রতি নিউজিল্যাণ্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরের ৫ কিলোমিটার ব্যবধানের আল নূর মসজিদ ও লিনউড মসজিদ নামে দুটি মসজিদে জুম্মাবারে একই খ্রীষ্টান একজন জঙ্গী কর্তৃক হামলা হয়েছে, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও পত্রিকান্তরে জানা গেছে- এতে সৃষ্টিকর্তা, রাব্বুল আলামীনের কাছে সিজদারত অবস্হায় নির্দয়ভাবে গুলিবর্ষণে নিহত হয়েছেন প্রায় ৪৯ জন এবং আহত অসংখ্য, যাদের বাকী জীবন অসহায় পঙ্গু ভাবে কাটাতে হবে । অপরাধ- তারা মুসলিম এবং তারা প্রবাসী বা বহিরাগত । আমরা প্রবাসীগণ এ কর্মকাণ্ডের প্রতি ঘৃণা ও তীব্র প্রতিবাদ জানাই । মহান আল্লাহ এ পৃথিবীতে মানুষ পাঠিয়েছেন তাঁর ইবাদত করতে এবং পৃথিবীতে মানুষ তার জীবনাকাল অতিবাহিত করতে জীবিকা অন্বেষণ করতে । প্রসঙ্গতঃ মুসলিম নিহতগণ এর বাইরে ছিলেন কি ? দেশের বাহিরে জীবিকার সাথে আল্লাহের নৈকট্য লাভের ইবাদতে মসজিদেই এ সন্ত্রাসবাদী হামলার শিকার হলেন এ প্রবাসী মুসলিমগণ। প্রবাসী হন তারাই মূলতঃ- যারা অপেক্ষাকৃত পরিশ্রমী অথবা রাষ্ট্র কর্তৃক কোন না কোনভাবে নিপীড়িত । বাহ্যিক চাকচিক্যময় জীবনযাপন হলেও এরা অনেক অসহায়, হয় নিজ মাতৃভূমিতে নাহয় প্রবাস ভূমিতে । আজ দেশে দেশে জীবন-জীবিকা ক্রমান্বয়ে কঠিনতর হয়ে পড়ছে । তা স্ব স্ব দেশে অবস্থানকারীদের জন্য যেমন, প্রবাসীদের জন্য তেমন । বিশ্বের সকল দেশেই কট্টর রাজনৈতিক দলগুলো অনেক কারণের সাথে এটাকেও প্রধান কারণ হিসেবে উপস্হাপন করছে এবং করতে শুরু করেছে। অনেক বড় বিপদ এটার ব্যবহারে, সাথে রয়েছে ধর্মীয় ভিন্নতা । এগুলোকে ব্যবহার করছে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতার পিচ্ছিল সিঁড়িতে । অসহায় মানুষ ও মানবতা আজ কখনও জঙ্গী আবরণে, কখনও ধর্মীয় আবরণে, কখনও বহিরাগত আবরণে, কখনওবা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার আবরণে ধুঁকছে আর মরছে । সকল ধর্মে স্রষ্টা’র প্রতি আনুগত্য ও মানবিক গুণাবলীর উৎকর্ষ সাধনের কথা বলা হয়েছে । তবুও আমরা মানুষেরা পশুত্বের শিকার, অসুরের শিকার । আজ আমরা মিথ্যা বর্ণবাদ ও মিথ্যা জাত্য অভিমানের শয়তানি কর্মকাণ্ডের বলী হচ্ছি । হে সৃষ্টিকর্তা,হে আল্লাহ্, আমাদের রক্ষা করো ।
-আলম শাহ্, বার্তা প্রধান, Dtv-Italy.