নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, অনেক জায়গাতেই মানুষের মধ্যে ভীতি কাজ করছে। এজন্য কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমরাও পরোক্ষভাবে দায়ী। আমরা এমন সব কাজ করেছি, যেগুলো ঠিক না।

তিনি বলেন, অনেক সময় অত্যন্ত ছোট একটা ভুল হলেও সেটাকে জনগণ ভুল হিসেবে মানবে না। ওই পরিস্থিতিতে কাউকে জিতিয়ে দেয়ার জন্য ইচ্ছা করে এটা করা হয়েছে, মানুষ তাই বলবে। এটা মেনে নিতে হবে। এসব বিষয় মাথায় রেখে সচেতনতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।

আগারগাওস্থ নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউটে ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার সংক্রান্ত এক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বুধবার তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এবং ইটিআই মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুকও উপস্থিত ছিলেন।

রফিকুল ইসলাম বলেন, ম্যানুয়ালি ভোটের ক্ষেত্রে আমরা বলে বলে ঠিক করার চেষ্টা করেছি, সেটা হচ্ছে যে, ব্যালট পেপারের উল্টো দিকে সিল বা স্বাক্ষর মেরে রাখত ভোট শুরু হওয়ার আগে। জিজ্ঞেস করলে বলতো যে, স্যার, একটু কাজ এগিয়ে রেখেছি।

তিনি বলেন, আমি প্রায় সময়েই বলি যে, নামাজ পড়াটা হচ্ছে আল্লাহর ইবাদত করা। কিন্তু এশার নামাজটা কি ফজরের সঙ্গে পড়ে নিতে পারবেন বা জোহরের নামাজটা ফজরে সঙ্গে পড়ে নিতে পারবেন? পারবেন না। এটা অত্যন্ত ভালো কাজ, কিন্তু তারপরও আল্লাহ তাআলা এটা অনুমোদন করেন নাই। সেই ক্ষেত্রে এখানেও একটুা প্রবলেম আছে। এজন্য এগুলো আপনারা বারবার বলবেন, যাতে প্রশিক্ষণার্থীদের কানে ঢুকে যায়। শুধু কানে নয়, মগজে-মননে ঢুকে যায়।

ইভিএম ব্যবহার নিয়ে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রশিক্ষনার্থীদের উদ্দেশে কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, যারা ভোটগ্রহণ করবেন তাদের পাশাপাশি যারা ভোট দেবেন, তারাও ইভিএম ব্যবহার করবেন। এই ভোটারদেরও প্রশিক্ষিত করতে হবে, কিভাবে ভোট দিতে হয়। একইসঙ্গে তাদের সচেতন করতে হবে। একজন প্রশিক্ষককে সব ধরনের প্রশিক্ষণ দিতে হবে যেন তিনি ভালোভালে প্রশিক্ষণ দিতে পারেন।

তিনি বলেন, প্রযুক্তিকে স্বাগত জানালেও প্রযুক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করা যাবে না। আইনকে কোনো সময় প্রযুক্তির কাছে সারেন্ডার করানো যাবে না। টেকনোলজি ইজ টেকনোলজি, রুল ইজ রুল। টেকনোলজিকে রুলের উপরে স্থান দেয়ার কোনো মানে হয় না।

তিনি বলেন, আইনে আছে কেন্দ্রভিত্তিক রেজাল্ট ঘোষণা করে একটি ফর্মে টাঙিয়ে দিতে হবে। কিন্তু যদি কেন্দ্রে না করে কক্ষ থেকে রেজাল্ট দিয়ে দেয়া হয়, তাতে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। এসব ক্ষেত্রে ডিসি, এসপি থেকে শুরু করে ডিআইজি সবাই এসেও কিন্তু পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে না।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading