মানবাধিকার কমিশনের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। ক্ষোভ প্রকাশ করে হাইকোর্ট বলেছেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে আইনে অর্পিত দায়িত্ব পালন করছে না রাষ্ট্রীয় এ সংস্থাটি। আমরা আরও মর্মাহত যে মানবাধিকার কমিশনের আদেশ একের পর এক উপেক্ষা করা হলেও তারা উচ্চ আদালতে প্রতিকারের জন্য আসেনি।

মিরপুরের গৃহকর্মী খাদিজাকে নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা একটি রিটের শুনানিতে বুধবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। আদালত এ ঘটনায় কয়েকটি পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান। মানবাধিকার সংগঠন চিলড্রেন চ্যারিটি অব বাংলাদেশ হাইকোর্টে এ রিট করেন।

গত ১০ জানুয়ারি মানবাধিকার লংঘনের ঘটনায় যথাযথ প্রতিকার দিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ২০১৩ সালে রাজধানীর মিরপুরে গৃহকর্মী খাদিজাকে নির্যাতনের ঘটনায় কেন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি সে ব্যাপারে আগামী এক মাসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে স্বরাষ্ট্র সচিবের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে তারা খাদিজার ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তদন্ত এবং এক উপ পরিদর্শক তথ্য গোপনের ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করেছে। এ কমিটিকে ১৮ মার্চ প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading