অতিসম্প্রতি কোচিং সেন্টার গুলো বন্ধ হয়েছে কিন্তু বাসায় প্রাইভেট তো আর বন্ধ হয় নি । এটা কি আর বন্ধ করা যাবে ? এতে ক্ষতিগ্রস্হ হলো স্বল্প আয়ের মানুষের সন্তানেরা, যারা শিক্ষা প্রতিযোগিতায় ভালো রেজাল্টের আশা করে । এতে দরিদ্র ও ধনীক শ্রেণীর বৈষম্য কমবে না । মূলতঃ সমস্যাটা শুরু হয়েছিলো প্রশ্নপত্র ফাঁস থেকে মাধ্যমিকে ও উচ্চমাধ্যমিকে বোর্ড কতৃর্ক করা প্রশ্ন ফাঁস হয়ে যায়, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নও ফাঁস হয়ে যায় । কেন হয়, কারা করে ? সংগঠিত সংঘবদ্ধ অর্থলোভী মানুষ । যারা কিনা শিক্ষক ও কোচিং সেন্টারের মালিক । এরা আবার যেনতেন শিক্ষক নন, এরা রাজনীতি করেন এবং সর্বদাই সরকারী দল করেন । স্হানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে দহরম মহরম রয়েছে বিধায় আইনের হাত এ ফাঁস অপকর্ম বন্ধ করতে পারে না । গুটিকয়েক অপকর্মকারীর জন্য দেশের সকল দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের রেজাল্ট ভালো করার কোচিং বন্ধ । ৩০/৪০ বছর আগে আমরা ৪/৫/৬ একসাথে প্রাইভেট পড়েছি, এখনও চলছে এভাবে । স্যারের বাসায় গিয়ে পড়া আবার বুঝে আসা অর্থাৎ প্রাইভেট পড়া । সকলে সমমেধা সম্পন্ন নয়, তাই পুণঃ বুঝতেই এ প্রাইভেট পড়া । ক্রমান্বয়ে কোচিং ব্যবস্হা এসে পড়েছে । শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়া এ কোচিং বন্ধ করে দিয়েছেন কিন্তু প্রশ্নফাঁসকারীদের ব্যবস্হা নিতে পারেন না, আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে আসে তারা । এ দূর্নীতি বন্ধ করতে এদের এ প্রক্রিয়ায় যে বা যারা এর পিছনে থাকুক সকলের মুখোশ উম্মোচন ও শাস্তির ব্যবস্হা করা হোক । তেমনি বিমানবন্দরগুলোতে আমরা যাত্রীরা মালপত্র বিনা স্কেনিং ছাড়া নিতে পারি না । হাতের চুরি-আংটি, পেন্টের ধাতব বোতাম সবই স্কেনিং করায় ধরা পড়ে অথচ পিস্তল বা খেলনা পিস্তল ধরা পড়ে না । এমনকি গায়ে পেচানো তার স্কেনিংয়ে ধরা পড়ে না, কি ধূরন্ধরি আলোচনা ! বেচারা ছিনতাইকারীকে আত্মপক্ষ সমর্থনে কোন কথাই বলতে দেয়া যাবে না । সেনাকমান্ডোদের সাথে একাই গোলাগুলি এবং নিহত হতে হবে । দেশের সকল পত্রিকা ও মিডিয়ায় পরদিন কি এটাই আলোচিত হতে হবে ? পরদিন ২৫ ফেব্রুয়ারী মর্মান্তিক একটি সেনাহত্যা শোকদিবস । এদিন ৫৭ জন সেনাঅফিসার পিলখানায় নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন, বাংলাদেশের নয় মাসের স্বাধীনতার জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধে এত অধিক সংখ্যক অফিসার নিহত হন নি । এটি কি রাষ্ট্রীয়ভাবে আলোচনা বা শোকদিবস পালন না করতেই বিমান ছিনতাই নাটক বা কথিত ছিনতাইকারী আলোচনা তৈরী ? নাকি চকবাজার অগ্নিকান্ডে ব্যর্থতা আড়াল করতেই কি এ ঘটনা ? তাহলে তো এটা ভয়ানক উচ্চমানের দূর্নীতি ! এ ধরণের প্রশাসনিক দূর্নীতি দেশকে পিছিয়ে নিবে, বহিঃবিশ্বে বাংলাদেশের আলোচনা দেশেরভাবমূর্তি মোটেই বাড়ায় না, অবনমন করে । আমরা কি একটি দূর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ পেতে পারি না ?

20190225_211621

—আলম শাহ্, বার্তা সম্পাদক, Dtv-Italy

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading