
দিল্লীর কুয়াশার ধাক্কায় ‘প্রাণ যায় যায়’ অবস্থা হয়েছে বাংলাদেশের ভোলার। উষ্ণায়নে হাঁসফাঁস করছে মলদ্বীপের হানিমাধু। দিল্লি-সহ উত্তর-পশ্চিম ভারতের সর্বনাশা কুয়াশা আক্ষরিক অর্থেই, দক্ষিণ এশিয়ার আবহাওয়া, জলবায়ুর পক্ষে অভিশাপ হয়ে উঠেছে। বিষিয়ে দিচ্ছে গোটা দক্ষিণ এশিয়ার বাতাস। প্রকৃতি ও পরিবেশ। উৎসাহ দিচ্ছে উষ্ণায়নে। গা আরও গরম করে দিচ্ছে বাংলাদেশ, মলদ্বীপ, মায়ানমার-সহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির।
উড়তে উড়তে গায়ের রং বদলে যাচ্ছে বাতাসের কার্বন কণাদের!
এমনটাই বলছে হালের একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা। ওই গবেষণা বলছে, স্থলভাগের উপর থেকে সমুদ্রের দিকে উড়ে যেতে যেতে কুয়াশার মধ্যে থাকা সাবানের ফেনার মতো জলকণাগুলির জাত বদলে যাচ্ছে। তাদের গায়ে লেগে থাকা কার্বন কণাদের গায়ের রং বদলে যাওয়ার জন্য। তাদের সূর্যালোক শুষে নেওয়ার ক্ষমতার বাড়া-কমায়। কুয়াশায় থাকা কার্বন কণাগুলি কালো থেকে হয়ে পড়ছে বাদামি। গবেষণাপত্রটি বেরিয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘সায়েন্স অ্যাডভান্সেস’-এর ৩১ জানুয়ারি সংখ্যায়।
কুয়াশার মধ্যে থাকা ওই কার্বন কণারা সূর্যালোকের সাতটি রংকেই প্রায় পুরোপুরি শুষে নিতে পারে বলে তাদের কালো দেখায়। কিন্তু দিল্লি ও উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে স্থলভাগের উপর দিয়ে সমুদ্রকে লক্ষ্য করে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলির দিকে উড়ে যেতে যেতে কুয়াশার মধ্যে থাকা সেই কার্বন কণাদের আলো শুষে নেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়। ফলে, তাদের গায়ের রং আর কালো থাকে না। হয়ে পড়ে বাদামি। সূত্র আনন্দ বাজার পত্রিকা