
রাজধানী চকবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা: সোহেল মাহমুদ বেলা সাড়ে এগারটায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, তারা ৭৮টি লাশ পেয়েছেন।
যদিও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কন্ট্রোল রুম থেকে বিবিসি বাংলাকে মৃতের সংখ্যা ৭০টি বলা হয়েছে।
এর আগে পুলিশ মহাপরিদর্শক জাভেদ পাটোয়ারি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেছেন, ৭০ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে এবং আরো লাশ থাকতে পারে।
যেভাবে লাশ পাবেন স্বজনরা?
বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা ফারহানা পারভীন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডা: সোহেল মাহমুদের ব্রিফিংয়ে ছিলেন।
মিস্টার মাহমুদ বলছেন, যেসব লাশ তাদের স্বজনরা সহজেই সনাক্ত করতে পারছেন সেগুলো আজই যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে হস্তান্তর করা হবে।
কিন্তু যাদের সনাক্ত করা যাচ্ছে না তাদের ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে সনাক্ত করার চেষ্টা করা হবে।
যদি সেটিতে সনাক্ত হয়ে যায় তাহলে সেগুলোও স্বজনরা গ্রহণ করতে পারবেন।
কিন্তু যেসব লাশ একেবারেই সনাক্ত করা যাচ্ছে না সেগুলো ডিএনএ পরীক্ষার পর দেয়া হবে এবং এজন্য কিছুটা সময় লাগবে।
গত রাত সাড়ে ১০টার পরে পুরনো ঢাকার চকবাজারে শাহী মসজিদের কাছে ‘ওয়াহিদ ম্যানসন’ নামের একটি ভবনে আগুন লাগার পর তা আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে।
পরে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট একযোগে কাজ শুরু করে। তবে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত কিছু বলেনি কর্তৃপক্ষ।