শিগগিরই লন্ডন যাচ্ছেন বিএনপির সিনিয়র কয়েকজন নেতা। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাদের সঙ্গে কথা বলতে ডেকেছেন। দলের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।

দলীয় সূত্র বলছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক ভরাডুবির পরে দলের পুনর্গঠন ও পরবর্তী কর্মসূচি কী হতে পারে তা নিয়ে আলোচনার জন্যই মূলত সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বসতে চান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সেজন্য অন্তত সাতজন সিনিয়র নেতাকে লন্ডনে ডেকেছেন তিনি। তবে সাতজন একই সঙ্গে যাচ্ছেন না সেখানে। সবাই পৃথকভাবে বিভিন্ন দেশ হয়ে লন্ডন যাবেন বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সূত্রগুলো বলছে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল মিন্টু, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালকে লন্ডনে ডেকেছেন তারেক রহমান।

আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এই নেতারা বিভিন্ন দেশ হয়ে লন্ডন যাবেন। এর মধ্যে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সরাসরি লন্ডনে যাবেন। তিনি সেখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোগ্রামে অংশ নেবেন। অন্য নেতাদের মধ্যে কারও কারও কর্মসূচিও রয়েছে। কেউ আবার চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন দেশ হয়ে লন্ডন যাবেন।

নাম প্রকাশে বিএনপির একাধিক সূত্র বলেন, সাংগঠনিক বিষয় ছাড়াও নির্বাচনে ভরাডুবির কারণ অনুসন্ধান এবং করণীয় নির্ধারণে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এই নেতাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে চান। যদিও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রায়ই সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে তারেক রহমানের কথা হয়। তবুও সরাসরি কথা বলে সিদ্ধান্ত নিতেই তাদের ডাকা হয়েছে।

দলের সিনিয়র নেতারা আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে নেতিবাচক সিদ্ধান্ত নিলেও তৃণমুলের নেতারা অংশ নিতে চান নির্বাচনে। এসব বিষয়ও নির্ধারণ হবে লন্ডনের বৈঠকে।

এদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন চিকিৎসার জন্য গত ১৯ জানুয়ারি রাতে সিঙ্গাপুর গেছেন। তবে তিনিও সেখান থেকে লন্ডনে যাবেন কি-না সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুর কবির খান বাংলানিউজকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। মহাসচিব চিকিৎসার জন্য শিগগিরই বিদেশে যাবেন কি-না সেটাও আমি জানি না।’

যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’

আপনি নিজে যাচ্ছেন কি-না? এমন প্রশ্নের জবাবে ড. মঈন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কাকে কিভাবে লন্ডনে ডেকেছেন খোঁজ খবর নিয়ে বলতে পারবো।’

এর আগে গতবছর জুন মাসে লন্ডনে গিয়ে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।সূত্র বাংলা নিউজ

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from শুদ্ধস্বর ডটকম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading